শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২১ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহনের সময় মোবাইল ফোনে আদালতের কাঠগড়ায় বসে ফোনালাপের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গন্যমাধ্যমে ফাঁস হয়। বুধবার (২৫ আগস্ট) উক্ত মামলার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহনের সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালত দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আদালত বরখাস্ত ওসি প্রদীপকে সতর্ক করেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফরিদুল আলম।
এডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গনমাধ্যমে ওসি প্রদীপের ফোনালাপের ছবির ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এসময় আদালত বরখাস্ত ওসি প্রদীপকে মোবাইল ফোনে কারও সাথে কথা বলতে হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে নির্দেশনা দেন। ভবিষ্যতে অনুমতিবিহীন কোন কাজ না করে সে ব্যাপারে তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে কক্সবাজার আদালতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কাঠগড়ায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাসের মোবাইলফোনে কথা বলার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে এটিএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এটিএসআই মো. শাহাব উদ্দীন, কনস্টেবল আবদুস সালাম ও আবদুল কাদের।
গত সোমবার কক্সবাজার জেলার দায়রা জজ আদালতে সিনহা হত্যা মামলার প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। এ সময় সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন মামলার বাদী সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। তিনি সিনহা হত্যার ঘটনার বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করছিলেন। তখন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ১৫ আসামি। তাদের মধ্যে ছিলেন টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস। এসময় প্রদীপ কুমারকে কাঠগড়ায় বসে মোবাইলফোনে কথা বলতে দেখা যায়। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি প্রদীপ।
ভয়েস/আআ