বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মহেশখালীর ৫ লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবী “মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু” বাস্তবায়ন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সুনজরে থাকা পর্যটন নগরী কক্সবাজারের দ্বীপাঞ্চলীয় উপজেলা মহেশখালীর ৫ লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবী একটাই  “মহেশখালী- কক্সবাজার নৌপথে সেতু” বাস্তবায়ন করা হউক। ইতোমধ্যে সেতু নির্মাণে একাধিকবার সম্ভাব্যতা যাছাই করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারের উর্ধতন ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি টিম সেতু নির্মাণে বা সেতু নির্মাণের আগে ফেরী স্থাপনে কয়েকটি স্থানও পরিদর্শন করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- মহেশখালীর পুরাতন জেটি, আদিনাথ মন্দির জেটি ও চরপাড়া এবং কক্সবাজার সদরের খুরুস্কুল, চৌফলদন্ডি ও নাজিরারটেক এলাকা। মহেশখালীর ৫ লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবী হচ্ছে যেই দিক দিয়ে হবে হউক তারপরও  “মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু” নির্মাণ করা হউক। সেতু নির্মাণের দাবীতে ১৩ নভেম্বর (শনিবার) সকাল থেকে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে অনশন করেন মহেশখালীর শিক্ষক ও সাংবাদিক আমিনুল হক। এসময়  উপস্থিত ছিলেন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকাস্থ মহেশখালীর সন্তান মোহাম্মদ আলী, দারুল ইরফান হোসাইনিয়া মাদ্রাসা ঢাকা এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি এমরান ইউসুফী, মহেশখালীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুর রহিম, ঢাকার আবদুল হাকিম, ঢাকাস্থ মহেশখালীর সন্তান রিফাত ও সৌরভ। সেতুর দাবীতে কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে  সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত  অনশনকারী শিক্ষক ও সাংবাদিক আমিনুল হককে জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আল মামুন। এসময় আমিনুল হক বলেন, মহেশখালী বাসী তথা যাত্রী সাধারণকে শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে এ নৌপথে যাতায়াত করতে হয়। এমনও নজির আছে যে, ঝুঁকিপূর্ণ ডেলিভারি রোগীকে মহেশখালী হতে কক্সবাজার রেফার করলে যাতায়াতকালে  নদীপথে বোটের মধ্যেই ডেলিভারি হয়ে যায়। যার চাক্ষুষ প্রমাণ হচ্ছে, ১৩ নভেম্বর ২০২১ ইং সকালে মহেশখালী পৌরসভার দক্ষিণ পুটিবিলা এলাকার আব্দু ছবুরের স্ত্রীর প্রসব বেদনা হলে তাকে কক্সবাজার নেওয়ার পথে স্পীড বোটেই তার ডেলিভারি হয়। এসময় মা বেঁচে গেলেও নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়। এছাড়াও  দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  যাতায়াত করতে হয়। আবার অনেকের যাতায়াতও  অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাত্রে জরুরি মূহুর্তে বোট  পাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়ে। আবার রাত্রে চলাচলও নিরাপদ  নয়। উল্লেখ্য যে, ১৯৮৪ সালে  মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে বাঁকখালীর মোহনায় যাত্রীবাহি নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারিয়েছেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর গর্বিত পিতা মহেশখালীর সম্ভাবনাময় সন্তান ও তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর  এডভোকেট এসএম রফিক উল্লাহ। এসময় আরো বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটে৷ এইভাবে এই চ্যানেলে আরো কতজনের প্রাণহানি ঘটেছে তার হিসাব দীর্ঘ লাইন। এদিকে বিগত ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মহেশখালীর আরেক সম্ভাবনাময় সন্তান চট্টগ্রাম কলেজের অনার্সের মেধাবী শিক্ষার্থী তোফায়েল’রও মৃত্যু হয় এই নৌপথে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৫ অক্টোবর ১৪ জন যাত্রী নিয়ে সোনাদিয়া চ্যানেলে একটি কাঠের বোট দূর্ঘটনায় পতিত হয়। তাদের মধ্যে অন্যান্যদের উদ্ধার করা গেলেও ১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই ভাবে কতজন  মৃত্যুর মিছিলে শামিল হয়েছেন তার সঠিক হিসাবও নেই। ইতোমধ্যে মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু বাস্তবায়নের দাবীতে মহেশখালী ও কক্সবাজারে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহেশখালী বাসী মনে করেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুখ দিয়ে যা ঘোষণা করেন তা বাস্তবায়ন হয়। যেমনটি, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকে অনীহা দেখিয়েছিল। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। ঠিক তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা মতে পদ্মা সেতুর কাজ যথাসময়ে শুরু হয়ে সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হতে চলেছে। উল্লেখ্য যে, কক্সবাজারের দ্বীপাঞ্চলীয় উপজেলা মহেশখালী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সুনজরে রয়েছে। মহেশখালীতেই বাস্তবায়ন হচ্ছে বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ মেগা প্রকল্প মাতারবাড়ী কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। মহেশখালীতেই নির্মিত হয়েছে এলএনজি গ্যাস টার্মিনাল। মহেশখালীর এই গ্যাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন করা হচ্ছে। মহেশখালীর  সোনাদিয়ায় ইক্যু ট্যুরিজমের উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এছাড়াও মহেশখালীতে আরো ৬ টি ইকোনোমিক জোন ঘোষণা করা হয়েছে। আরো উল্লেখ্য যে, মহেশখালীতে উৎপাদিত লবণ, পান, চিংড়ি ও শুটকি রফতানি করে সরকারের রাজস্ব খাতে অন্যতম যোগান দিচ্ছে। সবকিছু বিশ্লেষণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র আন্তরিকতায়  “মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু ” নির্মাণ হলে মহেশখালী হবে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটনীয় স্থান ও রাজস্ব খাতের অন্যতম মাধ্যম। মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু হলে আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হবে না। বাংলাদেশের যে কোন জায়গা থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার হয়ে মহেশখালী যাতায়াত করতে পারবে। মহেশখালী থেকে আবার গাড়ি যোগে বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় যেতে পারবে। একটা সেতুই পাল্টে দিতে পারে মহেশখালীর চিত্র। তাই মহেশখালী উপজেলার ৫ লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবী “মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু ” নির্মাণ করা হউক।
ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION