বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ব্যতিক্রম উদ্যোগে টেকনাফের অর্ধশতাধিক ভাসমান মানসিক রোগীদের মাঝে উন্নত মানের খাবার ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত) এর প্রতিষ্ঠাতা রাজু পাল।
১৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে টেকনাফ আদর্শ কেজিস্কুল চত্বরে ভাসমান মানসিক রোগীদের মাঝে উন্নত মানের খাবার ও শীতবস্ত্র বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী,টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান। সংগঠনের সভাপতি আবু সুফিয়ান,প্রধান উপদেষ্টা টেকনাফ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল,সাধারণ সম্পাদক রাজু পাল,মারোতের সদস্য উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক,মারোতের সদস্য পৌর ছাত্রলীগ নেতা ফরিদুল আলম নাফিস প্রমূখ।
মারোত সূত্রে জানায়,বিগত ২০১২সালে টেকনাফ লামার বাজারের এসএস ফার্মেসিতে কর্মরত অবস্থায় ভাসমান মানসিক রোগীদের মাঝে সেবা কার্যক্রম শুরু করেন রাজু পাল। উক্ত সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি আশেপাশের দোকানদার ও তার পরিচিতদের নিকট থেকে দুই টাকা করে তহবিল সংগ্রহ করতেন। উক্ত তহবিল যেহেতু মানসিক রোগীদের জন্য সংগ্রহ করা হতো তাই সেই তহবিলের নামকরণ করেন ‘মানসিক রোগীদের তহবিল’ সংক্ষেপে মারোত। পরবর্তীতে এই সেবামূলক কার্যক্রমকে বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজু পাল’র নেতৃত্বে মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত) পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত পরিচালনা কমিটির সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় মারোতের কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত হয়েছে। মারোত অন্ন, বস্ত্র ও প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি হস্তান্তর প্রক্রিয়া ও স¤পন্ন করে থাকেন। ইতিমধ্যে সংগঠনটি ৩৫ জন মানসিক রোগী তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। পাশাপাশি সৎকার ও দাফনের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে। অসহায়দের যতœআত্তি ছাড়াও হারিয়ে যাওয়া মানুষকে পৌঁছে দেন পরিবারের কাছে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী যখন কোভিড-১৯ সংক্রমণে একের পর এক রাষ্ট্র যখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, ঠিক তখনই টেকনাফে এসব ভাসমান মানসিক রোগীদের কথা বিবেচনা করে ধারাবাহিকভাবে খাবার বিতরণ করে আসছিল মারোত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত) এর পাশে আছি। এটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক। এ রকম আর কোনো সংগঠন প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় গড়ে তুলতে পারলে মানবতার বোধ জাগ্রত হবে। তখন সমাজে আর কোনো ধরনের মানুষ অবহেলিত থাকবে না।
ভয়েস/আআ