শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

টানা তিনদিনের ছুটি: হোটেল-মোটেলের সব রুম অগ্রীম বুকিং

কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে এভাবে জনশুন্য হয়ে পড়ে-ছবি:কক্সবাজার ভয়েস ডটকম।

আবদুল আজিজ:
টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিতে সমুদ্র শহর কক্সবাজারে সবকটি হোটেল-মোটেল কক্ষ অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। এসব পর্যটকরা বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায় জড়িত ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে ৫শতাধিক হোটেল মোটেলের রুম অগ্রীম বুকিং হয়ে যাওয়ায় আশার আলো দেখছেন তারা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শবে বরাতকে সামনে রেখে আগামী ১৭-১৯ মার্চ তিন দিন সরকারি ছুটি। এ কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে আসতে শুরু করেছেন দেশী-বিদেশী পর্যটকরা। নতুন তালিকা অনুযায়ী কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল গেষ্ট হাউজের সংখ্যা ৫১৬ টি। এসব হোটেলের সবকটি কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে যাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা প্রশাসনের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রে ও বীচকর্মীরা। এছাড়াও মোতায়েন করা হবে সাদা পোশাকধারী পুলিশও।

ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ‘টানা তিন দিনের ছুটি ঘিরে কক্সবাজারের অন্তত ২ লাখ পর্যটক আসতে পারে। পর্যটক আসা-যাওয়ার মধ্যে ৫লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেখা গেছে কক্সবাজার শহর ছাড়াও হোটেল-মোটেল অলিগলি-রাস্তা সব জায়গায় পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। ভিড় বাড়ছে পর্যটকবাহী ও সাধারণ পরিবহন, ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশায় বাইপাস সড়ক, কলাতলী ডলফিন মোড়, হোটেল-মোটেল জোন, লাবণী, শৈবাল সড়ক সহ বিভিন্ন স্থানে। ইতিমধ্যে ৫১৬ হোটেল-মোটেল গেষ্ট হাউজের সব কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এতে শুধু আবাসিক খাতেই আয় হবে আনুমানিক ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব টোয়াকের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার কক্সবাজার ভয়েসকে জানিয়েছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং শবে বরাতকে সামনে রেখে আগামী ১৭-১৮-১৯ মার্চ তিনদিন সরকারি ছুটি। এই কারণে পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে আসতে শুরু করেছেন।

কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ রোড হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, ‘এবারের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক কক্সবাজারে আসছে। দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা বা করোনার থাবা থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমবার বড় কোন ব্যবসার আলো দেখছে পর্যটন শহরের ব্যবসায়ীরা। ৫১৬ হোটেল-মোটেল ও গেষ্ট হাউজের ১০০% বুকিং হয়েছে। ইতিমধ্যে পর্যটন নগরীতে আসতে শুরু করেছে পর্যটক।’

বিচটা বে রিসোর্টেও ব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, ‘তিন দিনের ছুটিকে সামনে রেখে হোটেলের সব কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। এখনও অনেক ফোন আসছে বুকিংয়ের জন্য। কিন্তু আমরা বুকিং নিতে পারছি না। আশা করছি অনেকদিন পরে ভাল ব্যবসা হবে।’

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, সারাবছরের জন্য এ দুইদিন ব্যবসা হবে। কারণ করোনা বড় ধরণের লোকসানে ফেলেছে ব্যবসায়ীদের। বিশেষ করে হোটেল ব্যবসায়ীসহ পর্যটনখাতে জড়িতরা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী এমন দুই একদিনের ব্যবসা তেমন কিছুই হবে না।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, পর্যটকদের পদচারণায় মূখর থাকা তিনটি পয়েন্ট অতি গুরুত্ব দেয়া হবে। এর বাইরেও যেকোন অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে। পর্যটদের কোন ধরণের হয়রানী বর্দাস্ত করা হবে না। আমরা সার্বক্ষনিক নজরধারীতে আছি।’

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, এমনিতে পর্যটকে ভরপুর থাকে। তার উপর টানা ছুটি। এতে পর্যটক মুখর কক্সবাজার সৈকত। এ কারণে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে টহলে থাকবে পুলিশ।’

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION