বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

রোজায় শরীর চর্চায় যেসব বিষয় খেয়াল করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সুস্থ দেহ ও প্রফুল্ল মনের জন্য শরীরচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়। এ সময় শরীরচর্চা স্বাস্থ্যসম্মত কি না এ বিষয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে বিধায় এ আলোচনা। রোজা ও শরীরচর্চা দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে। তবে রোজা রেখে শরীরচর্চা করতে গেলে কিছু বিষয়ের ওপর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

সুফল

না খেয়ে হাঁটতে থাকলে শরীরের চর্বি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে, যা প্রকারান্তরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরের ওজনকে বাগে রাখার জন্য রোজা রেখে শরীরচর্চার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ সময় সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। শরীরচর্চার ফলে মস্তিষ্ক, স্নায়ুকোষ এবং পেশিকোষগুলো সতেজ থাকে। এ কারণে রোজা রেখে শরীরচর্চা করলে শরীরে বাড়তি কিছু ইতিবাচক সুফল পাওয়া যায়। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন নেহাত রোজার কারণে এটি ছেড়ে দেওয়া মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত হবে না। রেজার সময়ও নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করতে হবে।

কখন শরীরচর্চা করবেন

রোজার সময় তারাবির নামাজের পর শরীরচর্চা সবচেয়ে উত্তম। এ ছাড়া ইফতারের পরও শরীরচর্চা করা যেতে পারে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিংবা ইনসুলিন গ্রহণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে ইফতারের আগে শরীরচর্চা না করাই উত্তম। তবে সুস্থ-সবল মানুষের জন্য ইফতারের আগে শরীরচর্চা করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। সময়, সুযোগ ও পরিবেশ থাকলে সাহরির আগেও শরীরচর্চা করা যেতে পারে।

কোন ধরনের শরীরচর্চা উত্তম

রোজা রেখে হালকা ও মাঝারি মাত্রার শরীরচর্চা করা যেতে পারে। হাঁটা, ধীরগতিতে জগিং করা, ওজন উত্তোলন করা, সাঁতার কাটা, সাইক্লিংয়ের মতো মৃদু মাত্রার ব্যায়াম করতে কোনো বাধা নেই। যেসব শরীরচর্চায় হৃৎস্পন্দনের গতি মিনিটে ১৫০-এর বেশি হয়, সে ধরনের শরীরচর্চা রোজা রেখে করা অনুচিত। পেশি শক্তিবর্ধক ব্যায়াম রোজার সময় বেশি উপযোগী। রিচআপ, পুশআপ, ওজন উত্তোলন, জায়গায় দাঁড়িয়ে ওঠবস করা এসব ব্যায়ামের পর্যায়ে পড়ে।

লক্ষণীয়

গরমের সময় শরীরচর্চা করলে যথেষ্ট পরিমাণ পানি ও লবণের ঘাটতি হতে পারে। পানিশূন্যতা সৃষ্টি হলে শরীরের জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেজন্য পানিশূন্যতা যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। পানির ঘাটতি পূরণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানির উৎস শুধু ট্যাপের পানি নয়। ফলমূল পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কমলা, আঙুর, মালটা, টমেটো, শসা ইত্যাদি পানির অন্যতম উৎস। খাদ্যতালিকায় এসব ফলমূল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ইফতারের পর থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করে শরীরে যথেষ্ট পানি ধরে রাখতে হবে। মিহি শর্করাজাতীয় খাদ্যের তুলনায় তন্তুজাতীয় শর্করা খাদ্যগ্রহণ করার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। আর খাদ্যতালিকায় অবশ্যই আমিষের জোগান থাকতে হবে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION