শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
চকরিয়ায় মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত-৫ ১০৭ রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠাল বিজিবি গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক: মির্জা ফখরুল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও নভেম্বরে গণভোট দাবিতে ইসির সামনে জামায়াতসহ ৮ দল সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী-শিশুসহ ২৬ রোহিঙ্গা উদ্ধার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার টেকনাফে ট্রলারসহ ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরকান আর্মি ভুয়া জুলাইযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করল সরকার সোনাদিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংসের ঘটনায় মামলা দায়ের কোনো কারণে জাতীয় নির্বাচন ‘সঠিক সময়ে না হলেও’ আগে গণভোট চায় জামায়াত

গণমাধ্যমকর্মী আইন চায় না মালিকদের একটি পক্ষ: তথ্যমন্ত্রী

হাসান মাহমুদ, ফাইল ছবি।

ভয়েস ডেস্ক:

সংবাদপত্র মালিকদের একটি পক্ষ গণমাধ্যমকর্মী আইন চান না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘তারই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে নোয়াবের দেওয়া বিবৃতি।’

সোমবার (২৫ এপ্রিল) প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন-নোয়াবের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নোয়াব তো বলেছে, এ আইনের প্রয়োজন নেই। তাদের বিবৃতিতে এটিও বলা আছে যে, যেহেতু প্রেস কাউন্সিল, ডিএফপি আছে, সুতরাং এ আইনের কোনও প্রয়োজন নেই। প্রকৃতপক্ষে প্রেস কাউন্সিল এবং ডিএফপি কিন্তু সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে না। টেলিভিশন, রেডিও বা অনলাইনের সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্যও কোনও আইন নেই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ আইন হলে যখন তখন গণমাধ্যম থেকে যে ছাঁটাই হয় বা নিয়োগপত্র দেয় না, সেটি করা সম্ভবপর হবে না। তখন বেতন, ভাতা, গ্র্যাচুইটি নিয়ম অনুযায়ী দিতে হবে। ছাঁটাই করলেও সাংবাদিকরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘মালিকদের একটি পক্ষ সবসময় চায় সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ ধরনের আইন না হোক এবং তাদের একটি পক্ষ যে এই আইন চায় না, সেটির বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে নোয়াবের এই বিবৃতি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আইন করার দাবিটা এসেছিল এবং সে কারণেই গণমাধ্যমকর্মী আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার অনুমোদন, আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং, সংসদে উত্থাপনের পর এখন সংসদীয় কমিটির পরীক্ষাধীন প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পরিবর্তন-পরিমার্জন করে যাতে সাংবাদিকদের স্বার্থ পুরোপুরি সংরক্ষিত হয়, সে জন্য আমরা একমত। এ সত্ত্বেও বিভিন্ন মহল থেকে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। কেউ বুঝে বিবৃতি দিচ্ছে, কেউ অন্যরা বিবৃতি দিয়েছে সে জন্য বিবৃতি দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ এ আইন চায় না সেজন্য বিবৃতি দিচ্ছে।’

‘আমরা যেখানে আইনটি পরিমার্জন-পরিবর্তনের জন্য একমত, সেখানে কি এসব বিবৃতি আসলে প্রয়োজন আছে?’ প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বরং বিভিন্ন মহল থেকে বিবৃতি দিয়ে এই যে সৌহার্দ্যপূর্ণ অনুকূল পরিবেশ আছে, সেটিকে আসলে নষ্ট করা হচ্ছে।’

এ সময় আইনের খসড়া নিয়ে চলমান কাজ সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো প্রস্তাবিত আইনের যে ধারাগুলো পরিমার্জন-পরিবর্তন প্রয়োজন, তা নিয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব দেবে বলে আমাকে জানিয়েছে। এরপর আমরা মালিক পক্ষের সঙ্গেও আলোচনা করবো। কারণ মালিকরা এটি বাস্তবায়ন করবেন। এরপরে সেটি সংসদীয় কমিটি বিবেচনা করবে।’ খুব বেশি পরিবর্তন হলে তাদের আইনগত পরামর্শ নিতে হতে পারে। সেটি সংসদীয় কমিটি ভালো বলতে পারবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION