সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
ভূমি অধিগ্রহণেই তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি হয়েছে ৩৯০ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। এছাড়া জমি দখল ও উচ্ছেদের ঘটনাও ঘটেছে। দুর্নীতির অর্থ নিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আরও অনেকে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়। বুধবার (১১ মে) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে সংস্থাটি। কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা, অনুমোদন এবং বাস্তবায়নের নীতিকাঠামো বিশ্লেষণসহ সুশাসনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা এই গবেষণার উদ্দেশ্য বলে জানায় টিআইবি।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম, নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (গবেষণা ও পলিসি) মোহাম্মদ রফিকুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংস্থাটির গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি খাতের মহাপরিকল্পনা (পিএসএমপি) নিজেরা প্রস্তুত করতে পারেনি। এই মহাপরিকল্পনা তৈরিতে সরকার বারবার জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থ গ্রহণ করেছে। আর জাইকা একই প্রতিষ্ঠানকে (টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি-টেপকো) বারবার পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। ফলে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে জাপানের নিজস্ব ব্যবস্থা সম্প্রসারণের স্বার্থে কয়লা এবং এলএনজিকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশের জ্বালানি মহাপরিকল্পনা প্রস্তুত হয়।
টিআইবি বলছে, বরিশাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাঁশখালী এসএস বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি এলএনজি বিদ্যুকেন্দ্রের ভূমি ক্রয়, অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ৩৯০ কোটি ৪৯ লাখ টাকার দুর্নীতি-অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বাঁশখালী এসএস বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২৫৫ কোটি টাকা ও মাতারবাড়ি এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১১৯ কোটি ৪৫ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই অর্থ নিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মী, ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ এবং মধ্যস্বত্বভোগী।
এছাড়া ভারত, চীন, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ায় নির্মিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩ দশমিক ৪৬ টাকা থেকে ৫ দশমিক ১৫ টাকা পড়ে। কিন্তু বরিশাল কয়লাভিত্তিক ও বাঁশখালী এসএস বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার সুযোগ রেখে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ধরা হয়েছে ২২-৪৯ শতাংশ বেশি দাম।
ভয়েস/জেইউ।