শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
সিলেট থেকে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন রাকিব হাসান নামে এক ব্যক্তি। সঙ্গে স্ত্রী-ছেলেও রয়েছেন। তারা সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন উপভোগ করতে সুগন্ধা পয়েন্টে আসেন। হঠাৎ সৈকতের পাড়ে গরুর একটি পাল তাদের দিকে এগিয়ে আসে। এতে স্ত্রী শাহেনাস পা পিছলে পড়ে আঘাত পায়। পরে পাশে থাকা পর্যটকরা শাহেনাসকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বিরক্ত রাকিব।
তিনি বলেন, সমুদ্র সৈকতজুড়ে গরু আতঙ্কে রয়েছে পর্যটকরা। কয়েকশ গরু অবাধে ছোটাছুটি করছে সৈকতজুড়ে। কিন্তু সৈকতে গরুগুলো আটকানোর মতো কেউ নেই?
সরেজমিনে সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা যায়, গরু আতঙ্ক বিরাজ করছে সৈকতে বেড়াতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে। এ সময় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এ কারণে সৈকতের ব্যবস্থাপনা নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা।
আসাদ হোসেন নামে এক পর্যটক জানান, গরুগুলো সৈকতের বালিয়াড়িতে বেড়ানোর সময় তাকে গুঁতা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। গরু আতঙ্কে তিনি এক পর্যায়ে সৈকত থেকে ওপরে চলে আসেন।
উর্মি নামে আরেক পর্যটক বলেন, সাধারণত এ ধরনের দৃশ্য আমরা গরুর হাট-বাজারে দেখে থাকি। কিন্তু এটি সমুদ্র সৈকতে দেখতে পেয়ে খুব খারাপ লাগছে। সৈকতজুড়ে গরুর এমন বিচরণে যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে। সৈকতে গরু প্রবেশ রোধ করা খুব জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শামিম হোসেন ও তাসনুভা নব দম্পতির অভিজ্ঞতা আরও খারাপ। তারা দুজন সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের চেয়ারে বসে ছিলেন। এ সময় একটি গরু তাদের চেয়ার ও ছাতায় শিং দিয়ে গুঁতা মারা শুরু করে। ভয়ে তারা হোটেলে চলে যান।
এসব বিষয় নিয়ে সমুদ্র সৈকতের ব্যবস্থাপনার সমালোচনার শেষ নেই। ক্ষুণ্ন হচ্ছে সৈকতের ভাবমূর্তি। সম্প্রতি এক বিদেশি নারী পর্যটক সৈকতে গরুর উৎপাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি ভিডিও শেয়ার করে। এই ভিডিও ভাইরাল হলে নতুন করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সৈকত ব্যবস্থাপনার জন্য বিচকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকলেও কেন দিন দিন নানা উৎপাত বাড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ হাসান জানান, হঠাৎ করে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কিছু গরু নামার খবর শুনেছি। এসব গরুর মালিকদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
ভয়েস/আআ/সূত্র: ঢাকা পোস্ট