আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরে একটি তারকামানের হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় গত ২৮ সেপ্টেম্বর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় নাফ নদীতে নাব্যতা হ্রাসের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে আমরা টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের মাধ্যমে দেশী বিদেশী পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করে আসছে জাহাজ মালিকরা। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব খাতে বড় ধরনের অবদান রেখে আসছে। কক্সবাজারে প্রতিবছর ২০-২৫ লক্ষ পর্যটক ভ্রমনে আসেন তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ পর্যটকের চাহিদা সেন্টমার্টিন ভ্রমনের, আমরা পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষা করেই পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ভ্রমনে উৎসাহীত করে আসছে। এতে করে কয়েশ মানুষের বিনিয়োগে টেকনাফ, উখিয়া, ও সেন্টমার্টিনে গড়ে উঠেছে উন্নত মানের হোটেল মোটেল রিসোর্ট ও অসংখ্য রেস্তোরা। একারণে সৃষ্টি হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। বিগত বছর গুলোতে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে ১০টি জাহাজ চলাচল করে আসছে। কিন্তু গত ২৮ সেপ্টেম্বর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্তে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে যাহা খুবই হতাশা জনক ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ইতিপূর্বে বিগত বছর গুলোতে নাব্যতা শংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা জাহাজ পরিচালনা করে এসেছে । তাছাড়া নদীর কয়েকটি অংশে ডুবুচর জেগেছে কয়েক বছর ধরে। মাঝেমধ্যে উক্ত ডুবু চরে পর্যটক বাহী জাহাজ আটকা পরার খবর অতিতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যনে প্রচার হয়েছে। সম্ভবত একারণে সরকার আপাতত টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে এবার জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন । প্রয়োজনে পর্যটক পারাপারে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিনের জাহাজ চলাচল করা হলেও তা পর্যটন সেবা আশানুরূপ নয়।তাই, পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে পর্যটন শিল্পকে ধংসের কবল থেকে রক্ষা করতে বিকল্প পথে টেকনাফ হইতে সেন্টমার্টিন পর্যটন পারাপারের চিন্তা করা হচ্ছে। যেহেতু নাফ নদীতে নাব্যতা শংকটের কথা বলা হয়েছে সেহেতু নাফ নদী থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রেখে বিকল্প হিসেবে টেকনাফের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকত থেকে জাহাজ চলাচল চালু করা সম্ভব। উক্ত স্থানে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে একটি কাঠের তৈরী জেটি (অস্থায়ীভাবে) নির্মাণ করে পল্টুন স্থাপনের মাধ্যমে। জাহাজ চলাচল শুরু করা সম্ভব। তাতে করে পর্যটকের ঝুঁকি তেমন থাকে না ও সাবরাং পয়েন্ট থেকে পর্যটক নিয়ে জাহাজ গুলো সরাসরী সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে পৌঁছানো অধিকতর সহজ। এতে করে ভাড়াও বাড়বে না সময়ও কম লাগবে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগীতা আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সি-ক্রুজ অপারেটরস্ ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়ার) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।
এসময় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন সি-ক্রুজ অপারেটরস্ ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়ার) এর সভাপতি তোফাইল আহমদ, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর সভাপতি আনোয়ার কামাল সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ভয়েস/আআ