শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১২ অপরাহ্ন
বিশ্বজিত সেন:
আদতেই মানুষটা কে, কি করতেন বা কি করে গেছেন, কেন মানুষ তাঁকে এখনো স্মরণ করে। এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে কারা দেবে!
কিন্তু যখন একজন শিশু, বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যায় এবং তাঁরা সহ অনেকে শিল্প-সংস্কৃতি,ক্রীড়া সহ প্রগতিমনা রাজনীতির উচ্চারণ, কাজকর্ম করে, সেখানে বার বার ফিরে আসে প্রয়াত ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর নাম।সহজে আর আসবেনা-রে অধ্যক্ষ মহোদয়ের মতন মানুষ।
আমার চোখে দেখা এমন একজন মানুষ যাঁর সবসময়ের যাত্রা ছিলো সামনের দিকে, মিছিলের দিকে, সংস্কৃতির দিকে।রাজনীতিকে ধারণ করে শিক্ষা, সমাজ,সংস্কৃতির সহ বিভিন্ন মানবিক কাজের সেবা এবং উন্নয়ন তিনি অসাধারণ ভাবে ঘটিয়েছিলেন,যেটা কাল যুগকে অতিক্রম করে গেছে। ঘূর্ণিঝড়,বন্যা,জলোচ্ছ্বাস সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে, বিপদে আপদে যেখানে মানুষ অসহায়ত্ব অনুভব করেছে, সেখানে হাজির হয়ে যথাসম্ভব তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।অধিক পাওয়া না পাওয়ার যুগে এই ধরণের সব্যসাচী মানুষের সন্ধান পাওয়া খুবই দুস্কর!
দক্ষিণের জনপদে,উজানী বাতাসে বিরল কয়েকজন মানুষের মধ্যে একজন ছিলেন শ্রদ্ধেয় ওসমান স্যার ।তাঁর সাথে অনেক সময় অনেক বছর আমার পথচলা’—-। এই সপ্রতিভ মানুষটি আলোচনা, সমালোচনার মধ্যে সবকিছুকে পিছনে ফেলে সামনে চলেছিলেন ।নিজেদের বিক্ত- বৈভব, প্রতিষ্ঠিত আতœীয় স্বজন তাঁকে মোহগ্রস্ত করে রাখতে পারেনি । মানুষের ওসমান স্যার মানুষের মধ্যেই থেকেছেন।পরিবার,পিছুটান তাঁর কাজকে স্হগিত রাখতে পারেনি বা সহজে থমকে যাননি। এগিয়ে গেছেন শাশ্বত সুন্দর কল্যাণের দিকে- সবসময় ।এক সময়, সময়ের অশ্বারোহীর মতো ঘোড়সওয়ার থেমেছেন শীতল মরণকে হাসিমুখে বরণ করে।
তিনি মানুষকে সন্মান করতেন এবং সন্মানিতও করতেন। সে জন্য এখনো কালের ভেরী বাজানোর প্রতীক হিসেবে তিনি আলাদা ভাবে বিবেচিত হয়ে আছেন এবং থাকবেন ।চির শ্রদ্ধা রইলো এই অভাজনের————————
লিখক: সাংবাদিক, গবেষক ও সম্পাদক, কক্সবাজার ভয়েস ডটকম