রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
মুস্তাকিম বিল্লাহ:
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে বান্দা কিছু খেলে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং কিছু পান করলেও আল্লাহর প্রশংসা করে (আলহামদুলিল্লাহ পড়ে)।’ সহিহ মুসলিম : ১৪০৪
শোকর আরবি শব্দ, অর্থ কৃতজ্ঞতা তথা উপকারীর উপকার স্বীকার করা, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা, কৃতার্থ হওয়া। ফার্সি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় শব্দটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। পরিভাষায় শোকর হলো নেয়ামতের স্বীকৃতি জ্ঞাপন করা। শোকর দ্বারা আল্লাহর নেয়ামতগুলোর উপকারিতা স্বীকার করার ক্ষমতা জন্মে এবং আল্লাহতায়ালাকে মেহেরবান জেনে তার প্রতি ভক্তি দৃঢ়তর হয়ে থাকে ও মহব্বত জন্মে।
শোকর (কৃতজ্ঞতা) ও সবর (ধৈর্য) শব্দদ্বয় প্রায়ই জোড়া শব্দ হিসেবে দেখা যায়। এ উভয় শব্দের মাঝে অন্তর্নিহিত বা ভাবগত সম্পর্ক রয়েছে। কারণ উভয়টিই নেয়ামতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। নেয়ামত পেলে শোকর, না পেলে সবর।
শোকর সম্পর্কে কোরআন মজিদে ৭৫ বার উল্লেখ রয়েছে। হাদিস শরিফে আছে, ‘যে মানুষের শোকর আদায় করে না, সে আল্লাহর শোকর আদায় করতে পারে না।’ জামে তিরমিজি
আল্লামা ইবনে মানযূর (রহ.) শোকরের পরিচয় দিয়েছেন এভাবে, ‘শোকর হচ্ছে অনুগ্রহ উপলব্ধি এবং তা প্রচার করা।’ লিসানুল আরব : ৪/২৩০৫
আল্লামা ফাইরোযাবাদী (রহ.) বলেন, ‘শোকর পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় শোকরকারী যার শোকর করছে তার প্রতি বিনীত হওয়া, তার প্রতি প্রীতি ও ভালোবাসা পোষণ করা, তার অনুগ্রহ স্বীকার করা, তার প্রশংসা করা এবং প্রদত্ত বিষয়টিকে তার অপছন্দের ক্ষেত্রে ব্যবহার না করা। এর কোনো একটি না থাকলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে শোকর পূর্ণ হয় না।’ বাসাইরু যাবিত তামঈয : ৩/৩৪
কোরআন মজিদের পাতায় পাতায় আল্লাহর নেয়ামতসমূহ স্মরণ করানো হয়েছে এবং জানানো হয়েছে যে, মানুষের যা কিছু প্রাপ্তি সব আল্লাহর দান- ‘তোমাদের মাঝে যে নেয়ামত আছে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে।’ -সুরা আন নাহল : ৫৩
ভয়েস/আআ