শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০০ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বিশ্বায়নের হটস্পটে বাংলাদেশ

মোস্তফা কামাল:
যে যার মতো পেয়ে বসেছে বাংলাদেশকে। কেউ কম, কেউ বেশি। কিন্তু, চেপে ধরার বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। এই কম-বেশিটাও সামর্থ্য-সাধ্য দৃষ্টে। টপ মোস্ট সুপার পাওয়ার বিধায় যুক্তরাষ্ট্র বেশি চাপে। সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশ। এর বিপরীতে চীন-রাশিয়া কয়েকদিন হালকা-ঝাপসা থাকলেও সম্প্রতি বেশ কোমর বেঁধে নেমেছে। প্রতিবেশী ভারত বরাবরই কৌশলী। তবে, কূটনীতির খেলায় ছাড় বা রেয়াত দিচ্ছে না একটুও।

স্নায়ুচাপের তোড়ে চলমান বিশ্বে আগের অনেক হিসাব বদলে গেছে। পাল্টে গেছে শত্রু-মিত্রের সংজ্ঞাও। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ নীতি নিয়ে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ এই বিশ্ব স্নায়ুতাপে ভুগছে। দৃশ্যত গোলমালটা নির্বাচন নিয়ে। সঙ্গে মানবাধিকারসহ আরও কিছু। বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ না নেওয়ায় কারও কারও জন্য আশীর্বাদের মতো। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে ঝামেলা পাকলে লাভ কারও কারও। এবারও তাই। ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে এক ডজন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা চা-চক্র করেন। আমাদের রাজনীতিকরা সেখানে দাওয়াতে ধন্য। যুক্তরাষ্ট্রের হাই-প্রোফাইল প্রতিনিধিরাও আছেন ঢাকায়। এক অন্যরকম ব্যাপার-স্যাপার।

এ রকম সময়ে একটু জোরে কাশি ছেড়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আমেরিকা ও ইউরোপীয় রাজনীতিবিদদের উদ্বেগ প্রকাশকে নবঔপনিবেশিকতা এবং একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা বলে মনে করছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি আসার আগে, ৬ জুলাই এক টুইটে এ তথ্য জানায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। টুইটে বলা হয়, ‘‘আমরা লক্ষ করছি যে, কিছু ইউরোপীয় এবং আমেরিকান রাজনীতিবিদ বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এটি হলো নবঔপনিবেশিকতা এবং একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্পষ্ট হস্তক্ষেপের চেষ্টা।” বছর খানেক আগেও রাশিয়া এ রকম একটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। বরাবর প্রতিক্রিয়ায় সাবধানী এবং শব্দ মিতব্যয়ী চীনও ইদানীং বেশ সরব। র‌্যাব ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানকে সমর্থন করে চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর নিন্দা জানিয়েছে।

এ ধরনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় প্রকারান্তরে সবাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শরিক হয়ে পড়েছে। পারলে উগান্ডা-কঙ্গোও চলে আসে এ রেসে। সার্বিক অবস্থা যে জটিল রূপ নিচ্ছে তার সমাধান শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের হাতে থাকবে কি না বা আছে কি না গুরুতর প্রশ্ন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন করে। পানি কত দূর গড়ালে এমনটি হয় কূটনীতির পাড়ার মধ্যম সারির লোক বোঝেন। ইরানের কাছে সাবজেক্ট কিন্তু বাংলাদেশ নয়। টার্গেট বা সাবজেক্ট যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রতিবেদনটির ভাষা বেশ তীব্র। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভিতে ইংরেজি ভাষার আন্তর্জাতিক এই চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘ইউএস মেডেলিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রতিবেদনের শুরুতেই উপস্থাপক বলেন, ‘তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে নিজের স্বার্থে বিশ্বের দেশে দেশে সরকার পরিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের’। প্রতিবেদনে র‌্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালের শেষ দিকে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও এর ছয় শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া বাংলাদেশিদের ওপর একটি ভিসানীতিও জারি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদানকারী যে কোনো বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এ দুটি বিষয়ের প্রসঙ্গ টেনে প্রতিবেদনে বলা হয়, এতেই বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রোধের মাত্রাটি বোঝা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কিউবা, হাওয়াইসহ বেশ কিছু ক্যারিবীয় দেশের সরকার উৎখাতের ইতিহাস রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এ ক্ষেত্রে দেশটি তার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সহায়তা নেয়। অন্য দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এসব হস্তক্ষেপের নেপথ্যে বিভিন্ন বিষয় কাজ করে। দেশটি বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানবাধিকার রক্ষার নামে এসব করে থাকে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে দাবি করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটন নিজ স্বার্থে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত ও এগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে মূল্যবান সম্পদ, বাণিজ্য রুট, কৌশলগত অবস্থানকে ব্যবহার করতে চায়। বাংলাদেশকে ঘিরে দেশি-বিদেশি নানা পক্ষের চলমান রাজনীতি-কূটনীতি দেশটিকে কুরুক্ষেত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সাদা চোখেই স্পষ্ট যুদ্ধটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষের শক্তি আর বিপক্ষের শক্তির মধ্যে। রুশ-মার্কিন-ইউরোপ-চীন-ভারত নানা ভুজে গুরুত্বপূর্ণ শরিক করে ফেলা হচ্ছ বাংলাদেশকে। কূটনীতি মাড়িয়ে ক্ষেত্রবিশেষে অতিকূটনীতিতেও এগোতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। পরিস্থিতি বুঝতে বড় কূটনীতিক হওয়া জরুরি নয়। সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানে কারও বুঝতে সমস্যা হচ্ছে না যে, রুশ-ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত রসায়নে পুরনো স্নায়ুযুদ্ধকালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি বা তেমন কিছু ঘটলে দুনিয়ার একটি দেশও এ থেকে নিস্তার পাবে না। ভূরাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের বাস্তবতাটা বেশি কঠিন। একাত্তরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বিরুদ্ধে গিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ভারতের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কেবল সমর্থন নয়, সরাসরি সাহায্য করা একটি ইতিহাস। সময়ের ব্যবধানে শত্রু-মিত্র পাল্টে গেছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে চীন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপড়েন চললেও সম্পর্ক খারাপ নয়। যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারতের সঙ্গে সমান্তরালে সম্পর্কের ভারসাম্য রাখা চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জ জয়ের চেষ্টা যে বাংলাদেশ করছে না, এমনও নয়। বর্তমান চাপ-তাপের বিশ্বে এ অবস্থার শিকার আরও অনেক দেশ। আবার কোনো কোনো পরাশক্তির দেশও কাবু হয়ে পড়ছে ক্ষুদ্র-কমজোরি দেশের কাছে।

কেবল বাংলাদেশ নয়, এ স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কীভাবে কতটুকু পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে ভারসাম্য করে চলতে পারে তার ওপর নির্ভর করবে তাদের ভবিষ্যৎ। যা সামনে কঠিন দিনের জরুরি বার্তা দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় চীন এবং সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা প্রত্যাশা করে রাশিয়া। অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমা বিশ্বের ন্যাটো এবং সহযোগী রাষ্ট্রগুলোকে একত্র করছে। বিশ্বের দক্ষিণ-পূর্ব কোণও এর বিশেষ শিকার। এ কোণের ছোট দেশ বাংলাদেশ তা কীভাবে উৎরাবে? এ প্রশ্নের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্যের কূটনীতির দিকেও সাম্প্রতিক বিশ্বের চোখ খোলা। উটকো ঝামেলার মতো বাংলাদেশ এখানে কাবু রোহিঙ্গা প্রশ্নে। এর সঙ্গে ও পূর্বাপরে কেবল মিয়ানমার নয়। আরও অনেক শক্তি ও বিষয়আশয় জড়িত। তাই বাধ্য হয়ে এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশকে ধরনা দিতে হচ্ছে পরাশক্তিগুলোর কাছে। তারা আশ্বাস দেয়, কিন্তু কার্যকর সায় দেয় না। এ সুযোগটা নিচ্ছে প্রতিবেশী ভারত থেকে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী আরও কিছু দেশ। যুক্তরাষ্ট্র তো যে কোনো মূল্যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার পয়গাম নিয়ে ঘুরছে। যা কূটনীতির সঙ্গে অতিকূটনীতির টাটকা উদাহরণ। এসব সয়েই আপাতত কূটনীতিতে টিকে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এর সঙ্গেও যে প্রাগৈতিহাসিক কূটনীতির সংযোগ। এমন একটি সন্ধিক্ষণে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা আমাদের দেশে প্রকাশ্য খবরদারি করে চলছেন। আজ এখানে, কাল সেখানে ছুটে যাচ্ছেন। কোনো মন্ত্রীর দপ্তরে গেলে মন্ত্রীমশাই যারপরনাই ধন্য। বিদেশি এক্সিলেন্সি আসার ক’দিন আগ থেকেই মাঞ্জা মারা প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন তিনি।

নিয়োগপ্রাপ্ত দেশে এটি তাদের দায়িত্ব। আমাদের যে কূটনীতিকরা বিভিন্ন দেশে নিয়োগ পান তারাও তো সেখানকার জন্য বিদেশি কূটনীতিক। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নে সরকারের বিরুদ্ধে লবিংয়ের খবর বেশ চাউর। সরকারের কাছে এগুলো অপতৎপরতা। কারণ, এগুলোর বেশিরভাগই সরকারের ঘোরতর বিরুদ্ধে। বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলো কী করছে? তা প্রতিরোধে কি তাদের করণীয় কিছু নেই? বিদেশে আয়েশি জীবনের মধ্যে তারা কি টুকটাক কিছুও করতে পারেন না? আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কি কোনো নির্দেশনা নেই তাদের প্রতি? দেশ থেকে সরকারি পর্যায় বা ঘরানার বড় গোছের কেউ গেলে সেখানে তাদের আদর-সমাদরের কাজটি বাংলাদেশের দূতাবাস কর্মকর্তারা ঠিকঠাক মতোই করেন। বিমানবন্দরে রিসিভ করা থেকে নানান জায়গা ঘুরিয়ে দেখানোর কাজে কমতি করেন না। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কতটা পেশাদার কূটনীতিক? বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা যেমন পারফর্ম করেন, আমাদের দেশের তারা কি এর ধারেকাছেও পারেন? অন্তত বাংলাদেশি প্রবাসীদের কিছু কাজেও লাগেন? আদম কারবার, ভিসা বাণিজ্য করার দক্ষতা তো তাদের ঠিক আছে। বাংলাদেশ নিয়ে বেশি গরম তৎপরতা চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে সেখানে নেতিবাচক চিঠিপত্র ও তৎপরতার বিরুদ্ধে কিছু করেছেন সেখানকার কর্মকর্তারা?

রাজনৈতিক নিয়োগে মোটা অঙ্কের বেতন, বিদেশে আরাম-আয়েশসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা পান এই এক্সেলেন্সিরা। রাজকীয় জীবনাতিপাত তাদের। মোজ-মাস্তিসহ নানা কেলেঙ্কারিতে পর্যন্ত জড়াচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, নেপাল, ইন্দোনেশিয়ায় এই সম্প্রদায়ের করা দুষ্কর্মের ঘা এখনো দগদগে। বিদেশে বাংলাদেশের কূটনীতিক বা মিশন কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা বেশ দীর্ঘ। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়ার তালিকা নেহায়েতই ছোট। প্রকারান্তরে বিদেশে বাংলাদেশের ক্ষতি তারাও কম করছেন না। তাদের দিয়েই তো ওই সব দেশ বাংলাদেশকে চিনবে।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট

mostofa71@gmail.com

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION