বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

উন্নয়নের ইষ্টক নাকি কূটনীতির মাইলফলক

বদরুল হাসান:
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন শেষ হলো। ব্রিকস নিয়ে বিশ্বের বিকাশমান অর্থনীতি ও উদীয়মান বাজারগুলোর আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশও এই আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক জোটে যোগ দিতে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, ইতিমধ্যে দেশটি ব্রিকসের গড়ে তোলা নতুন উন্নয়ন ব্যাংক (New Development Bank, NDB)-এর সদস্য পদ লাভ করেছে। জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৪০টি দেশ এই জোটে যোগদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং ২২টি দেশ ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনও করে ফেলেছে। সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলনে তাদের মধ্য থেকে ৬টি দেশকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ নেই। এখন বাংলাদেশের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর নেই।

শীর্ষস্থানীয় মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংকিং ও বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান সাক্সের একজন অর্থনীতিবিদ জিম ও’ নীল ২০০১ সালে তার একটা গবেষণার প্রতিবেদনে এই ‘ব্রিকস’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। তাতে ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া ও চায়নার আদ্যাক্ষর দিয়ে কাল্পনিকভাবে গঠিত ‘BRIC শব্দ-সংক্ষেপের শেষে দেশগুলোর বহুবাচনিকতা অর্থে ‘ং’ বর্ণটা যুক্ত করেন, তখন শব্দ সংক্ষেপটা হয়ে পড়ে BRICs। তবে ২০১০ সালে এই জোটে দক্ষিণ আফ্রিকা যোগদান করায় শব্দ-সংক্ষেপটার প্রতিটি বর্ণ জোটভুক্ত একেকটা দেশের আদ্যাক্ষরের প্রতিনিধিত্ব শুরু করে; নাম হয়ে যায় ইজওঈঝ। গোল্ডম্যান সাক্সের দাবি ছিল যে, বিকস দেশগুলো জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর তুলনায় দ্রুততর গতিতে উন্নতি লাভ করতে থাকবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে এই চারটি দেশ উন্নতিতে জি-৭ কে ছাড়িয়ে যাবে। কারণ তাদের উন্নয়নের হার তখনই ছিল অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন। তা ছাড়া তাদের রয়েছে অনেক তুলনামূলক সুবিধা- উদীয়মান বাজার, পর্যাপ্ত জনগোষ্ঠী বা ভোক্তা শ্রেণি, বিপুল ভূ-সম্পত্তি, সস্তা শ্রমশক্তি, অবারিত প্রাকৃতিক সম্পদ, অনুকূল জনমিতি প্রভৃতি।

ও’ নীলের এই কাল্পনিক জোটকে বাস্তবে রূপ দিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ২০০৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় অংশ গ্রহণকালে সাইড লাইনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেন। এরপর ২০০৮ সালে মন্ত্রিপর্যায়ের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে সমঝোতার পর ২০০৯ সালে ব্রিক্সের প্রথম শীর্ষপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠান করেন। সেই থেকে প্রতিবছর এই জোটের শীর্ষপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠান হয়ে আসছে; চক্রাকারে এক বছরের জন্য প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের সরকার প্রধান/রাষ্ট্রপ্রধান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে এটা বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা ওপেকের মতো আনুষ্ঠানিক কোনো বহুমুখী প্রতিষ্ঠান না। এখানে জোটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে সর্বসম্মতির ভিত্তিতে। অভিন্ন উন্নয়ন স্বার্থ ও বহুমুখী বিশ্বব্যবস্থার অন্বেষণে পরস্পরের সংযোগ স্থাপন করাই এর মূল লক্ষ্য।

অনেকেই মনে করেন, এটা আসলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তি প্রভাবিত বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থার একটা বিকল্প আয়োজন। তবে এই জোটের অন্যতম দুই সদস্য ভারত ও ব্রাজিল প্রথম থেকেই বলে আসছে যে, এটা মার্কিন বিরোধী কোনো সংস্থা নয়। কিন্তু এটা ঠিক যে, এই দেশগুলোতে বিগত দুটি দশকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে উন্নতি হয়েছে ও সাফল্য এসেছে, তা ছিল অভূতপূর্ব। এমন কি, বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটের সময়ও তাদের আর্থিক সাফল্য ছিল উন্নত দেশগুলোর চেয়ে ভালো। অথচ সে তুলনায় বিশ্ব অর্থব্যবস্থা পরিচালনায় তাদের তেমন কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, বা সেখানে তাদের কোনো আওয়াজও আমলে নেওয়া হয়নি। সে জন্য উন্নত বিশ্বের ওপর তাদের চাপা ক্ষোভ রয়েছে। ফলে নিজেদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সমন্বয় সাধন ও অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লেনদেন সহজ ও গতিশীল করতে এই জোট ইতিমধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিয়েছে এবং আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যেগুলো মার্কিন নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে; যেমন এই জোট ২০১৪ সালে নতুন উন্নয়ন ব্যাংক (New Development Bank, NDA) ও কন্টিনজেন্ট রিজার্ভ ব্যবস্থা (Contingent Reserve Arrangement, CRA) গড়ে তুলেছে, যেগুলোকে পশ্চিমা শক্তির প্রভাবাধীন ব্রেটন উডস প্রতিষ্ঠান বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ছায়ারূপ হিসেবে অনেকে গণ্য করেন।

শুরুতে এই জোটের সদস্য সংখ্যা ছিল চার, তারপর ২০১০ সালে সেটা দাঁড়ায় ৫। কিন্তু এই মুহূর্তে এই জোটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে; ৪০টি দেশ জোটে যোগ দিতে আগ্রহী, তার মধ্যে ২২টি ইতিমধ্যে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে। এর প্রধান কারণ বর্তমান ইউনিপোলার বৈশ্বিক ব্যবস্থায় পশ্চিমা বিশে^র দাদাগিরি ও মোড়লিপনা। কভিড ১৯-এর সময় উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো পশ্চিমাদের জ্বালাতন ভালোভাবে টের পায়; উন্নত বিশ্ব তখন কভিডের প্রয়োজনাতিরিক্ত টিকা সংরক্ষণ করে রাখায় এসব দেশগুলোর নিরাপত্তাহীনতা, অস্থিরতা ও দুর্দশা বাড়ে। বর্তমানে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ ও তার দুষ্ট প্রভাবে এসব উন্নয়নশীল দেশ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে, অথচ এ যুদ্ধ উন্নত বিশ্বের একদেশদর্শী সিদ্ধান্তের ফসল বলে তারা মনে করছে। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের যুগে উভয় মেরু থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে তৃতীয় বিশ্ব যেমন ১৯৫৫ সালে বান্দুং সম্মেলনের মাধ্যমে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে তোলে, তেমনি এখন তারা ব্রিকসের মতো উন্নয়নশীল দেশের জোটে যোগ দিয়ে ইউনিপোলার কর্র্তৃত্বের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে চাচ্ছে। তা ছাড়া, এর পেছনে আরও রয়েছে তাদের অদমিত উন্নয়ন প্রত্যাশা।

ব্রিকস দেশগুলোর লোকসংখ্যা বৈশ্বিক মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ, এদের জিডিপি বিশে^র ২৬ শতাংশ এবং বাণিজ্য বিশে^র ১৮ শতাংশ এবং ভূখণ্ড পৃথিবীর ৩০ শতাংশ। যোগদানের জন্য অপেক্ষমাণ থাকা দেশগুলো বিবেচনায় নিলে এ জোটের শক্তি ও সম্ভাবনা সহজেই আঁচ করা যায়; ঠাহর করা যায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দরকষাকষিতে এর শক্তিমত্তা। ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর যেভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, কূটনৈতিক দিক থেকে সেসব নিষেধাজ্ঞা ব্রিকস প্রচ্ছন্নভাবে খাটো করে ফেলেছে। এখন ডলারকে দুর্বল করে দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রার মর্যাদা থেকে তাকে নামিয়ে আনার পদক্ষেপও ব্রিকস নেবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তারা বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেন সহজ ও নির্বিঘœ করতে নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তনের চিন্তাভাবনা করছেন, সুইফটের বিকল্প চৌকস কোনো আন্তঃরাষ্ট্রীয় লেনদেনের ব্যবস্থা প্রবর্তনের চেষ্টাও তাদের আছে। এসব ব্যবস্থা উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন প্রচেষ্টা যেমন ত্বরান্বিত করবে, তেমনি তাদের সক্ষমতাও বাড়াবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব শান্তি, ন্যায়বিচার ও স্থিতিশীলতার দায়িত্ব নিতে ব্রিকসকে বিশ্বের বাতিঘর হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বর্তমান সময়ের প্রয়োজনে এটিকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফরম হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার আশা পোষণ করেছেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চক্র বন্ধ করারও অনুরোধ করেছেন। এখানেই এই জোটে বাংলাদেশের যোগদান করার কারণ নিহিত, এখানে দেশের অবদান রাখার ক্ষেত্রও অবারিত।

ব্রিকসের স্বপ্নদ্রষ্টা জিম ও’ নীল যেসব সুবিধার জন্য দেশগুলোর দ্রুততর উন্নয়ন প্রাক্কলন করেছিলেন, বাংলাদেশে সেসব অধিকাংশ সুবিধা বিরাজমান; এখানে রয়েছে সস্তা শ্রমশক্তি, অনুকূল জনমিতিক সুবিধা, ক্রমবর্ধমান বাজার, বিশাল মধ্যবিত্ত ভোক্তা শ্রেণি, উদার বিনিয়োগ ও বাণিজ্যনীতি, প্রতিশ্রুতিশীল অবকাঠামো এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ। এর ফলে ব্রিকস দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও কভিডের আগ পর্যন্ত দুই দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছিল; এমনকি কভিডের মধ্যেও তার প্রবৃদ্ধি আশাজাগানিয়া। তার নমিনাল জিডিপি দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়েও কিছু বেশি, মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়েও বেশি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের অনেক নামিদামি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশকে অদূর ভবিষ্যতে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রাক্কলন করছে। বাংলাদেশ আবার ইতিমধ্যে ব্রিকসের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এনডিবির সদস্য পদও লাভ করেছে। এত কিছু অনুকূল শর্ত থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কেন এবার ব্রিকসের সদস্যপদ পেল না, সদস্য পদ পেল ১১১ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি ও ৮৫৭ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশ ইথিওপিয়া, সেটা আমার কাছে এক মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন বটে।

ব্রিকস একটা বড় সম্ভাবনাময় জোট হলেও এর কাঠামোর মধ্যে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। এখানে নানা মত ও পথের সমাহার যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে সাংঘর্ষিক স্বার্থের বিস্তৃত উপস্থিতি। এমন একটা মিশ্র স্বার্থের জোটে স্থান করে নিতে শুধু দরখাস্ত দিয়ে বসে থাকলে চলবে না, তার জন্য চালাতে হবে বহুমুখী তদবির ও তৎপরতা। আবার কেউ যাতে তার প্রার্থিতাকে কোনো পক্ষের অন্ধ অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত করতে না পারে, তার জন্য অবলম্বন করতে হবে বিশেষ কৌশল। পত্রিকায় দেখলাম বাংলাদেশ শুধু দরখাস্ত দেওয়া ছাড়া আর কোনো অনুশীলন কর্ম সম্পাদন করেনি। সেটা যে করেনি, তা আগের দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার অতি বিনয়ী অথচ সংক্ষিপ্ত কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছিল। এই জাতীয় গুণমানসম্পন্ন কূটনৈতিক দক্ষতা নিয়ে দেশ কীভাবে ২০২৬ সাল পর স্নাতকোত্তরকালে কঠিন প্রতিযোগিতা মোকাবিলা করবে, কীভাবে এফটিএ (Free Trade Agreemen), পিটিএ (Preferential Trade Agreement) ও সেপার (Comprehensive Economic Partnership Agreement)-এর জন্য নেগোশিয়েশন চালাবে, সেটাও আরেকটা প্রশ্ন।

ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর অধিকাংশেরই উন্নয়ন প্রচেষ্টা আমাদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। তাদের অনেকের যেমন আছে অঢেল প্রাকৃতিক সম্পদ, তেমনি আমাদের আছে কঠোর পরিশ্রমী জনশক্তি। বাংলাদেশ এই জোটে যোগদান করতে পারলে পারস্পরিক উন্নয়নের ক্ষেত্র যেমন তৈরি করতে পারত, তেমনি তার দর-কষাকষির অবস্থানও শক্ত হতো। এবার ছয়জন নতুন সদস্য যুক্ত হওয়ায় এবং জোটে সর্বসম্মতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিয়ম থাকায় আগামীতে এই ক্লাবে প্রবেশাধিকারের জন্য এখনকার ৫ জনের পরিবর্তে ১১ জনের কাছে ধরনা দিতে হবে। জ্ঞান, দক্ষতা ও পারঙ্গমতা থাকলে সেটাও কোনো বিষয় নয়। আশা করি আগামীতে স্মার্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পারদর্শী কুশীলবরা এক্ষেত্রে সরাসরি মঞ্চে উপস্থিত হয়ে তাদের দক্ষতার মহড়া প্রদর্শন করবেন।

লেখক: খাদ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও কলামিস্ট

rulhanpasha@gmail.com

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION