শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি বাসভবনে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। শুরুতে তাকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেলেও এবার জানা গেল অন্য তথ্য।
ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করতে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর দুজন এজেন্টকে নিয়োগ দিয়েছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ওই দুই এজেন্টের লুকিয়ে রাখা রিমোট নিয়ন্ত্রিত বোমার বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন হানিয়া
শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রেরমধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের
দুই ইরানি কর্মকর্তার বরাতে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, হানিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শেষকৃত্যে অংশ নিতে গত মে মাসে হানিয়া যখন ইরানে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তবে ভিড় থাকায় তখন সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
তবে পরবর্তীতে হানিয়াকে হত্যার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয় বলে টেলিগ্রাফকে জানান ইরানের দুজন কর্মকর্তা।
মোসাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই দুই ইরানি এজেন্ট ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) গেস্টহাউসের সম্ভাব্য তিনটি রুমে বোমা পেতে রাখেন। তাঁদের ধারণা ছিল, হানিয়া ওই রুমগুলোতেই উঠতে পারেন।
সিসিটিভি ফুটেজের বরাতে টেলিগ্রাফ বলছে, ইরানি ওই দুই এজেন্টকে কয়েক মিনিটের মধ্যে একাধিক কক্ষে প্রবেশ ও বের হতে দেখা গেছে। এ সময় এজেন্টদের গেস্টহাউসটিতে চুপিচুপি চলাচল করতে দেখা যায়।
রুমগুলোতে বোমাগুলো স্থাপনের পর ওই এজেন্টগুলো ইরান থেকে পালিয়ে যান। তবে দেশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হানিয়ার রুমের বোমাগুলো বিস্ফোরিত হয়।
এ ঘটনাকে ইরানের জন্য অপমানজনক বলে মনে করছে ইসলামী বিপ্লবী গার্ড। আইআরজিসি একজন কর্মকর্তা টেলিগ্রাফকে বলেছেন, “এটি ইরানের জন্য অপমান এবং বিশাল নিরাপত্তা লঙ্ঘন।”
আইআরজিসির আরেক কর্মকর্তা তেহরান থেকে টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘তারা নিশ্চিত হয়েছে যে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, আনসার আল-মাহদি সুরক্ষা ইউনিট থেকে এজেন্ট নিয়োগ করেছে।‘
ভারতে বিএসএফের প্রধান এবং উপপ্রধানকে বহিষ্কারভারতে বিএসএফের প্রধান এবং উপপ্রধানকে বহিষ্কার
আনসার আল-মাহদি সুরক্ষা ইউনিট উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত একটি ইউনিট।
তিনি আরও বলেন, “আরো তদন্তের পরে, আমরা আরও দুটি কক্ষে অতিরিক্ত বিস্ফোরক ডিভাইস আবিষ্কার করেছি।”
আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা গত দুই দিনে বেশ কয়েকবার সমস্ত কমান্ডারকে ডেকেছেন, তিনি উত্তর চান। তার জন্য, নিরাপত্তা লঙ্ঘনের সমাধান করার চেয়ে এখন প্রতিশোধ নেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
গত মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানে যান ইসমাইল হানিয়া। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিনের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এরপর ওইদিন স্থানীয় সময় রাত ২টা নাগাদ হত্যার শিকার হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হানিয়া। এ সময় তাঁর এক দেহরক্ষীও নিহত হন।
ভয়েস/আআ