বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

টেকনাফে ইয়াবাসহ তিন কারবারি গ্রেপ্তার

ভয়েস প্রতিবেদক, টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ তিনজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা (২ বিজিবি)। রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউপির নাজিরপাড়ার নজির আহমদের ছেলে আব্দুল্লাহ, হাবিবুর রহমানের ছেলে জহির আহমদ ও নজির আহমদের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ। এ সময় ইয়াবার মূল হোতা গুরা মিয়ার ছেলে ইমান আলীকে পলাতক আসামি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।

তিনি জানান, গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায় যে, বাংলাদেশের একটি সংঘবদ্ধ চক্র মায়ানমারের কিছু মাদক কারবারি মাছ ধরার আঁড়ালে নাফ নদী ব্যবহার করে একটি বড় মাদকের চালান পাচারের চেষ্টা করবে। এই গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান একটি বিশেষ অপারেশন পরিকল্পনা করেন। ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) ২ বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের নেতৃত্বে নাজিরপাড়া বিওপি এলাকায় কয়েকটি নৌ-টহলের মাধ্যমে নাফ নদীতে একটি সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় মিয়ানমারের মুংডু খাল থেকে একটি সন্দেহজনক জেলে নৌকা নাফ নদীর শূন্য রেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে। পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী বিজিবির নৌ-টহল নাফ নদীতে তাদের ধাওয়া করলে পাচারকারীরা দ্রুত কেওড়া বাগানের দিকে অগ্রসর হলে বিজিবির চৌকস দলগুলো তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। পরবর্তীতে নৌকাটি তল্লাশি করার পর মাছ ধরার জালের মধ্যে কৌশলে লুকিয়ে রাখা একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটের ভেতর থেকে বিশেষভাবে লুকানো ৩০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে নৌকায় থাকা তিনজন জেলেকে মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো জানান, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা মায়ানমার থেকে আনা মাদকের চালানটি বাংলাদেশের ইমান আলী নামে এক চোরাকারবারির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৩০,০০০ টাকা চুক্তিতে কাজ করছিল। চালানটি হস্তান্তরের আগেই তারা বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। মাদক পাচারের মূল হোতা ইমান আলীকে গ্রেপ্তারে বিজিবির অভিযান চলমান রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত আলামতসহ আসামিদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION