EDITOR
- ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ /

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় চাঁদা না দেয়ায় বালি মহালে অস্ত্রধারীরা হামলা চালিয়ে হাদিজা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধুর বাম হাত বিচ্ছিন্ন ও তার দেবর হাবিবুল্লাহকে (২৮) গুরুতর আহত করেছে। ওই সময় স্থানীয়রা অস্ত্রধারীদের ধাওয়া দিয়ে মিন্টু মিয়া (৩৫) নামে এক ডাকাতকে পাঁকড়াও করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত মিন্টু মিয়া বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি গ্রামের আহমেদ হোসেনের ছেলে।
হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গুরুতর আহত হওয়া গৃহবধু পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউপির ঝুমপাড়া এলাকার জয়নাল আবদীনের স্ত্রী ও অপর আহত হাবিবুল্লাহ ওই গৃহবধুর দেবর।মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ঝুমপাড়া এলাকায় এ ঘটে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত দুইজনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বাঁশখালী সীমান্তের টইটং ইউনিয়নের ঝুম পাড়া এলাকায় বালি উত্তোলন করছিল মোঃ খোকন নামে এক ব্যক্তি। খোকনের পক্ষে জয়নাল আবদীন বালি মহাল দেখাশুনা করতো। এ বালি মহাল থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাদাবী করে আসছিল একই এলাকার নুরুল কবির নামে এক ব্যক্তি। এক পর্যায়ে নুরুল কবির বাঁশখালীর মিন্টু ডাকাতকে ভাড়া করেন খোকনের বালি মহাল বন্ধ করার জন্য। চাঁদা না দিলে এ বালি মহাল বন্ধ করার জন্য হুমকি প্রদান করে মিন্টু ডাকাত। সর্বশেষ ঘটনার দিন বিকেলে নুরুল কবিরের ভাড়া করা বাঁশখালীর সন্ত্রাসীরা জয়নাল আবদীনের বাড়িতে স্বশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় তাদের কিরিচের কোপে জয়নালের স্ত্রী হাদিজা বেগমের হাত বিচ্ছিন্ন ও হাবিবুল্লাহর মাথায় গুরুতর আঘাত হলে জয়নালের পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ওই সময় মিন্টু ডাকাতকে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি দেন। এক পর্যায়ে মিন্টু ঘটনাস্থলে নিহত হন।
জানা গেছে, বাঁশখালীর পুইন্যা ডাকাত, মিন্টু ডাকাতসহ আরো বেশ কয়েকজন সংঘবদ্ধ ডাকাত পেকুয়ার টইটং এলাকায় এসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বিগত কয়েক বছর আগে এ মিন্টু প্রকাশ্যে সামশু নামে এক লোককে হত্যা করে। সেই মামলায় তিনি ১নং আসামী। মৌলভী সুলেমানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তসহ বেশ কয়েকটি বন মামলা রয়েছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল সীমান্ত এলাকা টইটংয়ের বাসিন্দারা। সর্বশেষ বালি মহালে হানা দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত হলেন।
এবিষয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কানন সরকার বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে আটকে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।