শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সৈকতে পর্যটকের ঢল: করোনামুক্ত পৃথিবীর প্রত্যাশা

নেছার আহমদ:

করোনা উপেক্ষা করে থার্টি ফাস্টনাইটে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সরকারি ছুটিতে করোনাময় পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সৈকতের সমবেত হয়েছে। এজন্য কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ এসব পর্যটকদের সরকারী বিধি-নিষেধ ও নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বিদায় নিচ্ছে ২০২০ সাল। করোনা মহামারী সহ বিশ্বব্যাপী নানা ঘটনার স্বাক্ষী বিদায়ী এই বছর।
করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউকে সামনে রেখে আগামী ২০২১ সালকে করতে যাচ্ছে বিশ্ব। থার্টি ফার্স্ট নাইট ও আগামী বছরকে স্বাগত জানাতে গত দুদিন থেকে কক্সবাজারে এসেছে লাখেরও বেশি পর্যটক। সৈকত এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। করোনা মহামারীতেও পর্যটকদের স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন বালাই নেই। সৈকতে পুলিশ এবং প্রশাসনের নানা উদ্যোগ সত্বেও পর্যটকেরা মুখে মাস্ক দেয়া থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিধি মানছে না।

বছর ঘুরে থার্টি ফাস্ট নাইট আসলেই কক্সবাজারে শেষ সূর্যাস্ত দেখতে ভিড় জমায় লাখো পর্যটক। ২০২০ সালটি করোনায় দু:সময় কাটলেও এবারও ব্যতিক্রম হয়নি কক্সবাজার সমু্দ্র সৈকতে। পুরনো বছরের বিদায়ি সূর্যাস্ত দেখতে ভিড় জমিয়েছে লাখো পর্যটক। যেন করোনার ভয়াবহতা ভুলতে বসেছে। তাই এসব পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

সৈকত ভ্রমনে আসা পর্যটক দম্পতি সফিউল বারি ও রাহেলা রুমি জানান, করোনাময় ২০২০ সালের সব দু:সময়ের স্মৃতি ধুয়েমুছে ২০২১ সালের উদীত সূর্যদয়ে একটি নতুন পৃথিবী দেখার প্রত্যাশায় আছি। আমরা চাই আগামী নতুন বছরে করেনামুক্ত পৃথিবী হউক।

কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ রোড হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান জানান, করোনায় থার্টি ফাস্ট নাইটে কক্সবাজারে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজে ইতিমধ্যে প্রায় কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব পর্যটকেদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, থার্টি ফাস্ট নাইটে সরকারী বিধি-নিষেধ ও কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের সার্বিকভাবে নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়াও কন্ট্রোল রুম, মেডিকেল টিম, পোশাকধারী পুলিশ ও কুইক রেসপন্স টিম সার্বক্ষনিক নিয়োজিত রয়েছে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের এ কর্মকর্তা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন জানিয়েছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এবছর সৈকতে কোন অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি। ফলে হোটেল মোটেলেও এবছর কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে না। এরপরও সৈকতে পর্যটকদের উচ্ছাসের কমতি নেই।,

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনে আসা বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রামের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, করোনার এই সময়ে সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সৈকতে সূর্যাস্ত অবলোকন করা দরকার। প্রতিবছর সৈকতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার থাকলেও এ বছর সরকারি সিদ্ধান্তে সব আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে।

সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, বিকাল গড়ার সাথে সাথে করোনাময় পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে শীতের হিমেল হাওয়ায় বালিয়াড়িতে বছরের প্রথম সুর্যোদয় অবলোকন করছে পর্যটক। করোনামুক্ত নতুন বছরের ছোঁয়ায় জেগে উঠার অদম্য প্রত্যয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মনের আনন্দে। স্বাস্থ্যবিধি মানা ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।

করোনাময় ২০২০ সালের সব দু:সময়ের স্মৃতি ধুয়েমুছে ২০২১ সালের উদীত সূর্যদয়ে একটি নতুন পৃথিবী দেখার প্রত্যাশায় সৈকতে আসা পর্যটকরা। করোনার অশুভ শক্তি যেন শান্তির শুভ শক্তির কাছে পরাভূত হয়। সবার জন্য শান্তির বারতা নিয়ে আসুক নতুন বছর। এমন প্রত্যাশা সকলের।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION