বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরে আলম প্রকাশ নুরুকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় কাউসার নামের তার এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সন্ত্রাসী নুরুকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান। নুরু নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় ডন নুরু হিসেবে পরিচিতি। সন্ত্রাসী নুরু নগরীর আকবরশাহ পূর্ব ফিরোজশাহ এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা, পাহাড় দখল-কাঠ পাচার-অস্ত্রবাজি পুলিশের ওপর হামলা সহ অন্তত ১৭টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এদিকে খবর নিয়ে জানাগেছে, নানা অপরাধে নুরুর বিরুদ্ধে নগরীর আকবরশাহ ও খুলশী থানায় ২৮টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে ১৭ বছর সাজার আদেশ হলেও সেই সাজা পরোয়ানা থানার নথিতে নেই।
পুলিশের দাবি- নুরুর বিরুদ্ধে ১৭ বছরের সাজা হয়েছে এ ধরনের কোন পরোয়ানা বিগত দুই বছরে থানায় আসেনি। অথচ সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পুর্ব ফিরোজশাহ নাছিয়াঘোনা এলাকায় সরকারি পাহাড় দখল করে গড়ে তুলেছে নিজস্ব সাম্রাজ্য।
সিএমপি’র পশ্চিম জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হুমায়ন কবির জানান, নুরুর বিরুদ্ধে ১৭ বছরের সাজা পরোয়ানার বিজ্ঞ আদালতের আদেশের কপি আমাদের থানায় আসেনি। দুই বছরেও সাজা পারোয়ানা থানায় না পৌঁছায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যে আদালত সাজা দিয়েছে সেই আদালত থেকে সাজা পরোয়ানা দন্ডি আসামি যে থানা এলাকায় থাকেন সেই থানায় যাবে। দুইশো বছর ধরে এটাই হয়ে আসছে। কিন্তু থানা বলছে একজন আসামির ১৭ বছরের সাজা পরোয়ানা তাদের কাছে নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন আছে।
মামলার রায়ের আদেশে বলা হয়েছে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম জেলার গুনবতী থানার চাঁপাচো হাজি বাড়ির তনু মিয়া ভা-ারির ছেলে নুর আলম প্রকাশ নুরু বর্তমানে নগরীর আকবরশাহ থানার পুর্ব ফিরোজশাহ ১ নম্বর ঝিল এলাকায় থাকেন। তাকে অস্ত্র আইন ১৮৭৮ এর ১৯ এ ধারায় দশ বছর সশ্রম ও ১৯ (এফ) ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদ-ে দ-িত করা হল। পলাতক আসামি নুরু যে দিন আদালতে হাজির হবেন কিংবা পুলিশের হাতে ধরা পড়বেন সেদিন থেকে তার সাজার মেয়াদ গণনা করা হবে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হোক।
ভয়েস/আআ