মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
বশির আল মামুন, চট্টগ্রাম:
সম্পন্ন হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত থাকা এ নির্বাচন নিয়ে গেল একুশ দিন ধরে চলে জোর প্রচার।বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এদিন বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল বন্দরনগরীতে। বিক্ষিপ্ত সহিংসতাও ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জন নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়। কাউন্সিলর প্রার্থী আটকের ঘটনাও ঘটে।
জনগণের রায়ে বিশ্বাসের কথা জানান আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী। বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ছিল অভিযোগ। তারা জাল ভোট, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ আনে।
এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মেয়র পদে ৭ জন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ২২৫ জন।
তবে আলোচনার শীর্ষবিন্দুতে ছিলেন দুই প্রধান মেয়রপ্রার্থী আওয়ামী লীগের এম. রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা) এবং বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ)।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে ৬ষ্ঠবারের মতো ভোটগ্রহণ হলো। পাঁচ বছর দশ মাস আগে অনুষ্ঠিত ৫ম নির্বাচনেও মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আ জ ম নাছির উদ্দীন ও বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলম।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের এম. রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহিদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কেবল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী।
এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ২২৫ জন।
চসিকের ৪১ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ আর নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।
নির্বাচন কমিশন এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে ৭৩৫টি। এর মধ্যে ৭৩৩টি স্থায়ী ও ২টি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ৪ হাজার ৮৮৬টি।
ভয়েস/আআ