রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
মহেশখালীতে আলোচিত পানচাষি আবদুল গফুর হত্যার ঘটনায় এখনো কোন আসামী আটক হয়নি। আসামীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বীরদর্পে পাহাড়ি জনপদে ঘুরাফেরা করছে। মামলার বাদী, স্বাক্ষীসহ আবদুল গফুরের পরিবারকে প্রতিনিয়ত নানা হুমকী ধমকি দিয়ে আসছে হত্যাকারীরা। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পান চাষি আবদুল গফুরের পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে নির্মমভাবে খুন হওয়ার আবদুল গফুরের বিচারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তাঁর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত আব্দুল গফুরের ছোট ভাই খায়রুল আমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বড় ভাই পান চাষি আব্দুল গফুরকে গত ১১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় দিবালোকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মৃত অছিউর রহমানের পুত্র ইউসুফ জালালের নেতৃত্বে সেকেন্ড ইন কমান্ড মৃত মতিউর রহমানের পুত্র গুরা মিয়াসহ ১৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এই গোষ্ঠি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে দেশের প্রচলিত আইন আদালত না মেনে একের পর এক হত্যাকান্ডের জন্ম দিচ্ছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে শান্তিময় মানুষের মাঝে খুন খারাবি করে বীরদর্পে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে থানা আদালতে হত্যাসহ ডজন ডজন মামলা রয়েছে। মামলাগুলো হলো— জিআর—৯৫/৯৬, ২৩/২৩৯, ১৯৩/২১, ৬০/১২, ১৩/৩২৫, ৬০/১২, ১৯/২৮৭ ও ২৬/২৩৫। শুধু তাই নয় আদালত থেকে পুলিশকে মেরে পালানোর ঘটনাও ঘটিয়েছে এ গোষ্ঠির সন্ত্রাসীরা। এটা নিয়ে তারা আবার অহংকারও করে। এ গোষ্ঠির অত্যাচার, জলুম দখলবাজিসহ নানা ঘটনায় দীর্ঘ বছর ধরে অতিষ্ঠ হয়ে আছে সাধারণ মানুষ।
নিহত আব্দুল গফুরের ছোট ভাই খায়রুল আমিন সাংবাদিকদের আরও বলেন, মহেশখালী উপজেলার বড়মহেশখালী ইউনিয়নের পূর্ব মুন্সীর ডেইল এলাকায় ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠির বেপরোয়া কর্মকান্ডের শিকার হয়ে অনেকে কবরবাসি হয়েছে। আবার অনেকেই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারিয়েছে। তার মধ্যে বড়মহেশখালী ইউনিয়নের পূর্ব মুন্সীর ডেইল এলাকার কালা মিয়ার ছেলে পানচাষি মঞ্জুর আহমদকে দিন দুপুরে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। শেষে তার হাত কেটে নেয়া হয়েছে। দেবাঙ্গা পাড়ার তজু মিয়ার ছেলে আব্দুল জাব্বারকে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়েছে। বর্তমানে তিনি পঙ্গু অবস্থায় আছে।
১৯৯৬ সালে ওই গোষ্ঠির শিকার হয় এলাকার স্বনামধন্য শহীদ পরিবারের সন্তান মাষ্টার হুমায়ুন কবির। তাকেও হত্যার উদ্দেশ্য আক্রমণ করা হয়। পরে তিনি জানে বেঁচে যান। তার হাতও কেটে নেয়া হয়েছে। এছাড়া একই এলাকার নজির আহমদের ছেলে আনোয়ার পাশাকেও একই কায়দায় হত্যার উদ্দেশ্য হামলা চালানো হয়। অবশেষে তিনি অঙ্গ হারিয়ে বেঁচে আছে।
তাদের নির্মম শিকারে চিরতরে হাত হারানো শহীদ পরিবারের সন্তান মাষ্টার হুমায়ুন কবির বলেন, গত জোট সরকারের আমল হতে তারা মাথা চড়া দিয়ে উঠে একের পর এক মারাত্নক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। তারা স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সাথে আতাঁত করে হত্যাকান্ডকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের শক্তি। তাই সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমি ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
ভয়েস/আআ