মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে হেফাজেেত ইসলামের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে ৩ জন হেফাজত কর্মী ও ১ জন পথচারী সহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাধা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় হেফাজত ইসলামের বিক্ষুব্দ নেতাকর্মী হাটহাজারী থানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ৬জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৪ জনে মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেকল কলেজ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষনিক আহত নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
জানাগেছে, জুমার নামাজের পর হেফাজত ইসলাম হাটহাজারী সদরে নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে অন্তত ৬ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সংঘর্ষে হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষের সময় হাটহাজারী এসিল্যান্ড এর গাড়িতে আগুন দিলে গাড়িটি পুড়ে যায়। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। পরিস্থিতি মোবকবেলায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ থানার সামনে অবস্থান করছে।
এদিকে চমেক পুলিশ ফাাঁড়ির এ এস আই শিলব্রত বড়ুয়া বলেন, হাটহাজারী থেকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে তিনজন হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্র ও একজন পথচারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অর্ধশতাধিক আহত হেফাজতের নেতাকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরআগে জুমার নামাজের পরপরই স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধীতা করে বিক্ষোভকে করে হেফাজতের নেতারা। এতে হাটাহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে হেফাজতে ইসলাম।সংঘর্ষের জেরে হেফাজতের নেতারা হাটহাজারী থানা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে।
ওই এলাকা পুরো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মাদরাসার সামনে হেফাজতের নেতাকর্মীরা থানার সামনে এসপির নেতৃত্বে পুলিশ ও বাস স্ট্যান্ডে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। তাদের ত্রিমুখী অবস্থানের কারণে জুমার নামাজের পর থেকে হাটাহাজারী খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল বলেছেন, এখনও মাদরাসার সামনে তাদের পাঁচ পুলিশ সদস্য আটকা পড়ে আছেন ও দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ভয়েস/ জেইউ।