রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

গৃহবধূ সেলিনাকে গুলি করে হত্যাকারী মামুন ও তার বাহিনী এক আতংকের নাম

ভয়েস প্রতিবেদক, পেকুয়া:
গত দেড় বছর আগে অবৈধ অস্ত্র বিক্রির সময়
র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন মামুনসহ তার অপর দুই সহযোগি। সেই সময় মামুনসহ তার সহযোগিদের নামে অস্ত্র মামলার পর জেল হাজতে প্রেরণ করে বিজ্ঞ আদালত। কিছুদিন আগেই তিনি জেল থেকে বের হন। মামুনসহ তার বড় ভাই আনছার ও কাইছারের নামে রয়েছে হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ ডজন মামলা।
এক পর্যায়ে উপজেলার উৎশৃঙ্খল যুবক ও কিশোরদের নিয়ে গঠন করে নিজের নামে মামুন বাহিনী। তারপর শুরু করে অস্ত্র বেচাকেনা। এছাড়াও ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, জমি জবর দখল করে ঘর তৈরি, বসতবাড়ি ভাংচুর, হামলার ঘটনায় অস্ত্রসহ ভাড়ায় ব্যবহার হয়ে থাকেন তারা। এ সমস্ত ঘটনায় বাঁধা দিতে গেলে নিরহ লোকদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টা করা তাদের জন্য নিত্য ঘটনা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বারবাকিয়া ইউপির বুধামাঝির ঘোনা এলাকার রমিজ আহমদের এ তিন পুত্র এলাকার ত্রাস হিসাবে পরিচিত। তাদের সহযোগি হিসাবে রয়েছে বেলাল, নুুরুল আজিম, মাহামুদুল করিম, মফিজুর রহমান, মাহামুদুল করিম, সদর গোঁয়াখালীর আরমানসহ ৩০ জনের সংঘবদ্ধ একদল সন্ত্রাসী। এক সময় জমি জবর দখল করে ঘর তৈরি করা,বসতভিটা ভাংচুর, হামলার ঘটনায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটি হিসাবে ব্যবহার হত। সেখান থেকে মহেশখালী ও বাঁশখালীর বেশ কয়েকজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন। পুরো উপজেলাসহ আশেপাশের উপজেলায় শুরু করে করেন অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা। নিজেরাই অস্ত্রসহ ভাড়াটি হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকেন। পেকুয়া থানা প্রশাসনের কাছে এ সমস্ত ঘটনার কোন তথ্য না থাকলেও ঠিকই র‍্যাবের কাছে অস্ত্র বেচাকেনার তথ্য ছিল। অস্ত্রসহ গ্রেফতারও হয়।
আরো জানা গেছে, তিন ভাই ও তাদের সহযোগিদের কাছে জিম্মি ছিল পুরো বারবাকিয়াসহ আশেপাশের ইউনিয়নের  লোকজন। কিছু বললেই বাড়িতে গিয়ে গুলিবর্ষণ করতো। কিছুদিন আগে ইতালী প্রবাসী মোঃ মিরাজ উদ্দিনের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে বাড়িতে গিয়ে গুলিবর্ষণ করে হত্যাচেষ্টা চালায়। সর্বশেষ একই এলাকার মৃত সাহাব মিয়ার ছেলে মোঃ হোসেন, মৃত আবদু রহমানের ছেলে আক্তারুজামান ও ইউপি সদস্য আবু ছৈয়দ টুকুর নির্দেশে ভাড়ায় ব্যবহার হয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে সেলিনা আক্তারকে হত্যা করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাকিব ও সাইফুলকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করে। তান্ডব চালায় নুরুল ইসলামের বসতবাড়িতে। পুলিশ এ ঘটনায় কোন আসামীকে আটক করতে না পারলেও মামুনের দুই সহযোগি মাহামুদুল করিম ও মফিজুর রহমানকে স্থানীয়রা আটক পুলিশের হাতে তুলে দেন। ঘটনার ২০ ঘন্টা পার হলেও মামুনসহ ঘটনায় জড়িত অন্য কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পেকুয়া থানা পুলিশ। যার কারণে চরম আতংকে দিনাপাত করছেন নিহত গৃহবধুর পরিবার।
নিহত গৃহবধু সেলিনার মেয়ে সানজিদা বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার মাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার দাবী করছি। মামুনসহ তার সহযোগিদের ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছি আমরা। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ আমার নিরহ মাকে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হউক।
ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION