রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

পেকুয়ায় সেলিনা আক্তার হত্যায় ৩৭ জনের নামে মামলা

ভয়েস প্রতিবেদক, পেকুয়া:
পেকুয়ায় গৃহবধু সেলিনা আক্তারকে গুলি করে হত্যা ও দুই যুবককে গুলি করে আহত করার ঘটনায় ৩৭ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে। তার মধ্যে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
সোমবার নিহত সেলিনার স্বামী ফরিদুল আলম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলাটি দায়ের করলে ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার মামলাটি রুজু করেন। যার মামলা নং ০২/২১।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার চাচাতো ভাই নুরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামের সাথে বিবাদীদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এঘটনায় বিবাদীরা বিরোধীয় জায়গায় অবস্থান নিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ শুরু করলে তার ও স্ত্রীর ঘুম থেকে ওঠে বাড়ির বের হন। বের হয়ে রাস্তায় ওঠামাত্র বিবাদীরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করলে স্ত্রী সেলিনা আক্তার মাথা ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুলির আওয়াজ শুনে তার ভাতিজা নাজমুল সাকিব ও মেয়ে জামাই সাইফুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে তাদের জখম দেখে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন। ওই সময় সংঘবদ্ধ বিবাদীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে দুইজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। স্ত্রীসহ আহত তিনজনকে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দুইজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার মামলা রুজু হওয়া ও নিজে মামলাটি তদন্ত করবেন তা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটন, এজাহার নামীয় আসামীদের অবস্থান নির্ণয় করিয়া গ্রেফতার, ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার, অজ্ঞাত আসামীদের শনাক্ত, তৃতীয় কোন ব্যক্তির ইন্ধন আছে কিনা তাহা উদঘাটন করার জন্য মাহমুদু্ল করিম ও মফিজ নামে ধৃত দুই আসামীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তিঁনি এ ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান।
ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION