মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরও দুইজন মারা গেছেন। এরআগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন। সবশেষ দুইজনের মৃত্যু হওয়ায় এ সংখ্যা ৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২১ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তারা।নিহতরা হলেন মো. শিমুল (২৩), সিলেটের মৌলভী বাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার আব্দুল মালেকের ছেলে। আর নিহত রাজিউল ইসলাম (২৫) দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার বেতদিঘি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির বলেন, বিকাল সাড়ে ৫ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিমুল। অন্যদিকে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে বুধবার দিবাগত রাত ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রাজিউল ইসলাম।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া এবং পার্কভিউ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার তালুকদার জিয়াউর রহমান শরীফ।
এদিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ৩ কোটি টাকা করে এবং আহতদের প্রত্যেককে ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে এবং নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়েছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন এ নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনার আর্জি জানানো হয়েছে।
এছাড়া নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাতজন শ্রমিক নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- শুভ (২৩), মো. রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯), রনি হোসেন (২২), রায়হান (২০) মো. শিমুল (২৩) ও রাজিউল ইসলাম (২৫) । সংঘর্ষে আবদুল কাদের, ইয়াসির আহমেদ, আসাদুজ্জামান নামে তিন পুলিশ কনস্টেবলও আহত হয়েছেন।
ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সংঘর্ষের ওই ঘটনায় শনিবার রাতে বাঁশখালী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতপরিচয় সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভয়েস/জেইউ।