শনিবার, ২৮ Jun ২০২৫, ০৭:২২ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে

করোনাভাইরাস প্রতীকী ছবি।

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে গত এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এরই মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।সোমবার (১৭ জানুয়ারি) মাস্ক না পরার অপরাধে রাঙামাটিতে মোবাইল কোর্টে ৬ জনকে ২ হাজার ৫ শত টাকা জরিমান করা হয়।

রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি ৩১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১১ জনের পজেটিভ শনাক্ত হয়। ১৬ তারিখ ৫৩ জনের মধ্যে ১৫ জনের পজেটিভ শনাক্ত হয়। ১৭ তারিখ ১২০ জনের মধ্যে ৩৫ জনের পজেটিভ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে রাঙামাটি সদরে ১৪, কাপ্তাই ১৩, নানিয়ারচর ১, জুরাছড়ি ২, রাজস্থলী ২, বিলাইছড়ি উপজেলায় ২ জন।

রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, রাঙামাটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রয়েছে ৪ হাজার ৩ শত ৫২ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৩৪ জন। আইসোলেশনে ভর্তি আছে ১ জন। এখন পর্যন্ত করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৯১ হাজার ৯০ জন, দ্বিতীয় ডোজ ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৯৯ জন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। তাও সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনীহা লক্ষ্য করা গেছে।

সোমবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বোরহান উদ্দিন ও সনজিদা মুশতারিনের নেতৃত্বে দুটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় মাস্ক না পরায় ৬ জনকে ২ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বোরহান উদ্দিন।

রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, গত নভেম্বর মাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৮ জন, ডিসেম্বরে তা হয় ২৭ জন। জেলা সদরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা

বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে অনীহা। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে মোবাইল কোর্ট করে চালিয়ে এই সংক্রমণ কমানো সম্ভব না।

উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি বিকালে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেখানে সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি, মধ্যম ঝুঁকি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়।

অধিদফতরের তথ্যমতে, ঢাকা ও রাঙামাটি জেলা সংক্রমণের রেড জোন অর্থাৎ উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৬ জেলা এবং কম ঝুঁকি অর্থাৎ সবুজ জোনে রয়েছে দেশের ৫৪ জেলা। স্বাস্থ্য অধিদফতর

সূত্রে জানা গেছে, উচ্চঝুঁকিতে থাকা ঢাকায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং রাঙামাটিতে শনাক্তের হার ১০ শতাংশ।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION