রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ অমিক্রণের সংক্রমণ চট্টগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে এরই মধ্যে। গত ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষক চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের ৭৫ শতাংশই অমিক্রণ আক্রান্ত বলে তথ্য দেন।
এবার প্রায় একই তথ্য দিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষকরা।
সিভাসুর গবেষকরা জানান, চট্টগ্রামে অধিকাংশ রোগীর শরীরে অমিক্রণ ভেরিয়েন্টটি ইতোমধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সিভাসু ল্যাবে টেস্ট করা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ১০ জন রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। এতে সকলের শরীরে অমিক্রন ভেরিয়েন্টের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, সংক্রমণের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভাইরাসটির ৬৮টি বার জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। দশটি নমুনার মধ্যে সবকটি নমুনায় অমিক্রন ভ্যারিয়েট (B1.1529) এর উপস্থিতি রয়েছে। এরমধ্যে ৪টি নমুনায় অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অধিকতর সংক্রমণশীল লিনিয়েজ (বিএ২) শনাক্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নির্দেশনায় এবং পোল্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টারের (পিআরটিসি) আর্থিক সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. প্রণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তানভীর আহমদ নিজামী এ গবেষণা পরিচালনা করেন।
অমিক্রণ শনাক্তকৃত নমুনাগুলো চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন বয়সের করোনায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন বলে জানা গবেষকরা। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও এক জন মহিলা।
গবেষক দলের সদস্য সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা বাংলানিউজকে বলেন, অমিক্রণ আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ ছিল খুবই মৃদু। অধিকাংশ রোগীর গলা ব্যথা, সর্দি ও মৃদু জ্বর ছাড়া মারাত্মক কোন লক্ষণ ছিল না।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ রোগীর শরীরে ‘বিএ২’ ধরণের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যা তেমন বিপজ্জনক না হলেও অধিকতর সংক্রমণশীল।
এর আগে চবি ও জেনারেল হাসপাতালের গবেষকরা ৩০ জনের নমুনার জিনোম সিকুয়েন্সিং করেন। এতে ৭৫ শতাংশ রোগীর শরীরে অমিক্রণ সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন তারা।
ভয়েস/আআ