সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ইনানী সৈকতে ভেসে এসেছে জীবিত ডলফিন

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে একটি জীবিত ডলফিন। মঙ্গলবার দুপুরে ইনানীর পাটুয়ারটেক থেকে কিছুদুর সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে এ ডলফিনটি। ভেসে আসা ডলফিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ইনানী সৈকতে দায়িত্বরত বিচ কর্মী বেলাল জানান, সৈকতে জোয়ারের পানিতে কাল রঙ আকৃতির ডলফিনটি জীবিত ভেসে কূলে আটকে পড়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকে পড়া ডলফিনটি কি উদ্ধার করে হাটু পরিমাণ পানিতে নিয়ে যায়। যাতে মরে না যায় এমন জায়গায় অবস্থান নিয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দিই এবং উৎসুক জনতা থেকে রক্ষা করে হেফাজতে নিই।

কক্সবাজার পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, দুপুরের দিকে ইনানী পাটুয়ার টেকের একটু পর সমুদ্র সৈকতে একটি ডলফিন দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা। খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে দায়িত্বরত বীচ কর্মীদের পাঠানো হয়। পরে বীচ কর্মীরা ডলফিনটি জীবিত দেখতে পেয়ে সাগরে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ডলফিনটি আবার তীরে ফিরে আসে। তবে ডলফিনের পেট ও শরীরের কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্নি আছে। যার কারণে ডলফিনটি দূর্বল হয়ে গেছে। এই জলজ প্রাণীটিকে বীচ কর্মীদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে খবর দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার বনবিভাগের দক্ষিন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো: সারওয়ার আলম কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছোয়াংখালী বিট কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি ঘটনাস্থলে পৌছেছেন। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করে সুস্থ্য হলে ডলফিনটি সাগরে ছেড়ে দেয়া হবে।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, ‘আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ছবি দেখে যতটুক জেনেছি, ডলফিনটি ‘বতল নোজ’ প্রজাতির ডলফিন। সাগরের সব জায়গায় এদের বিচরণ। শান্ত স্বভাবের এই ডলফিন গুলো পরিবার কেন্দ্রিক দলবদ্ধভাবে থাকে। একে অপরের সাথে মারামারি করারও কোন নজির নেই। তাই, কি কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তা এই মুহুর্তে বলা কঠিন’।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION