মহেশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে কলেজ শাখা চালু করার লক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক জাহেদুল হক ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো সহ সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম কুদ্দুছ চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল কাদের ছিদ্দিকী।
এছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। আলহাজ্ব গোলাম কুদ্দুছ চৌধুরী জানান, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় মহেশখালীর উত্তর প্রান্তে ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে কলেজ শাখা চালু হওয়ার পথে। উত্তর মহেশখালী বাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল এই এলাকায় একটি কলেজ স্থাপিত হউক। এরই আলোকে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম কুদ্দুছ চৌধুরী স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর সাথে আলোচনার মাধ্যমে ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে কলেজ শাখা চালু করার অনুরোধ করেন। ফলপ্রসু আলোচনায় এবং সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় চালু হওয়ার পথে ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ মহেশখালী।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক জাহেদুল হক সোমবার পরিদর্শনে এসে ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শ্রেণি কক্ষ, হাজ্বী বকসু মিয়া অডিটোরিয়াম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, গ্রন্থাগারিক লাইব্রেরী, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, দৃষ্টি নন্দন বঙ্গবন্ধু মঞ্চ, খেলার মাঠ সহ বিদ্যালয়ের নতুন পুরাতন অবকাঠামো পরিদর্শন করেন। তিনি বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন। তিনি ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম কুদ্দুছ চৌধুরী জানান, মহেশখালীতে অন্যান্য কলেজ থাকলেও তা একেবার দক্ষিণ প্রান্তে প্রায় ১৫/২০ কিলোমিটার দুরে হওয়ায় মহেশখালীর উত্তর প্রান্তের অনেক শিক্ষার্থী এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শেষে ঝরে পড়ে৷ অনেক গরিব অসহায় পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী শিক্ষার্থী হয়েও পাশে কলেজ না থাকায় আর্থিক অনটনের কারণে আর পড়ালেখা চালিয়ে নিতে পারে না। পাশাপাশি চকরিয়া উপজেলার বদরখালী কলেজে গিয়েও পড়ালেখা চালিয়ে নিতে দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ছাত্রীদের বেলায় আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ চালু হলে মহেশখালীতে পড়ালেখার মানোন্নয়নে আরও প্রসার ঘটবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।