সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে এটা সময়সাপেক্ষ বিষয়।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি ও পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
তারা আরও বলেন, সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের কীভাবে নিরাপদে রাখা যায় সে ব্যাপারে পরিদর্শন শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা যাতে আতঙ্কিত না হয়, সেজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশে থেকে উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকালে বান্দরবান সদর থেকে প্রথমে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। এরপর নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পরিদর্শনে যান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস, ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্টু কুমার সাহা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার জনবসতিতে দুটি মর্টারশেল এসে পড়ে। এতে কেউ হতাহত না হলেও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিস্ফোরণে কম্পিত হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু ও বাইশফারিসহ কয়েকটি সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম। এতে চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
ভয়েস/জেইউ।