সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৪ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

যে আমল পাপ থেকে বাঁচায়

ধর্ম ডেস্ক:
মানুষ মরণশীল। পৃথিবীতে কেউ অমর নয়। সবাইকে এক দিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এই মৃত্যু কখন, কোথায় হবে তা অনিশ্চিত। আল্লাহর হুকুমেই জন্ম হয়, আল্লাহর হুকুমেই মৃত্যু হয়। পৃথিবীতে যারা আল্লাহর ইবাদত করে তাদেরও মৃত্যু হবে। আবার যারা আল্লাহর নাফরমানি করে, তাদেরও মৃত্যু হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ারা বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার মৃত্যু হবে এবং ওদেরও মৃত্যু হবে।’ সুরা আয যুমার : ৩৯

হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা জীবনের স্বাদ ধ্বংসকারী মৃত্যুকে বেশি পরিমাণে স্মরণ করো।’ তিরমিজি : ২৩০৬

তাই একজন মুমিনের মৃত্যুর কথা বেশি বেশি মৃত্যুর স্মরণ করা এবং তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা উচিত। কারণ মৃত্যুর থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। ক্ষণস্থায়ী এই পৃথিবীতে মানুষ আল্লাহকে ভুলে দুনিয়ার পেছনে প্রতিনিয়ত ছুটছে। পার্থিব জীবনে আর্থিক সচ্ছলতা ও সম্মান জীবনের লক্ষ্য করে নিয়েছে। এজন্য আল্লাহকে ভুলে গেছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং কিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলাপ্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে সফলকাম হবে। আর পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ সুরা আলে ইমরান : ১৮৫

প্রতিটি মানুষের জন্য আল্লাহ মৃত্যুর সময় নির্ধারিত করে রেখেছেন। মৃত্যুর পর কেউ চাইলেও সৎকাজ করতে পারবে না। তখন আফসোস করা ছাড়া আর কিছু থাকবে না। পবিত্র কোরআনে এসেছে মানুষ তখন আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! যদি আপনি আমাকে আরও কিছুদিনের জন্য সময় দিতেন, তাহলে আমি সদকা করে আসতাম ও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। অথচ নির্ধারিত সময়কাল যখন এসে যাবে, তখন আল্লাহ কাউকে আর অবকাশ দেবেন না।’ সুরা মুনাফিকুন : ১০-১১

কিন্তু তখন আল্লাহ বান্দার এই দোয়া কবুল করবেন না। মানুষের অভাব অসীম। যত পায়, আরও চায়। মানুষের জীবনের সঙ্গে মৃত্যু অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তবে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ কিংবা মৃত্যুর কামনা করা যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে কোনো রোগে ভুগছে এমন মানুষকে প্রায়ই মৃত্যুর কামনা করতে দেখা যায়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন কিছুতেই মৃত্যু কামনা না করে এবং মৃত্যু আসার আগে তার জন্য দোয়াও না করে। কেননা যখন তোমাদের কেউ মারা যায় তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। আর মুমিনের দীর্ঘ জীবন শুধু তার জন্য কল্যাণই বয়ে আনে।’ সহিহ মুসলিম : ৬৯৯৫

আমাদের প্রিয়নবী নিষ্পাপ হওয়ার পরও প্রতিদিন মৃত্যুর কথা স্মরণ করে আল্লাহর দরবারে কান্না করতেন। এজন্য হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবি ও মুসলিম উম্মাহকে বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করতে বলেছেন। মৃত্যুর কথা স্মরণ করা মানুষকে সব পাপকাজ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহমুখী হতে সাহায্য করে। বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার, কবর জিয়ারত, মৃত ব্যক্তির জানাজা পড়া এবং আল্লাহকে ভয় করার মাধ্যমে মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়। তাই আসুন, আমরা এই দুনিয়ার লোভ পরিত্যাগ করে বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করি।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION