নিহতরা হলেন, আব্দুল হাকিম বাহিনীর সদস্য বশির (৩৫), হামিদ (৩০), রফিক (৩০) ও রইঙ্গা (২৫)। এদের মধ্যে বশির ও হামিদ শীর্ষ ডাকাত আব্দুল হাকিমের ভাই বলে জানা গেছে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজার ভয়েসকে জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার সকালে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের সন্ধানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই পাহাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বশস্ত্র ডাকাত বাহিনী সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাত বাহিনী পাহাড়ে ঢুকে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা তল্লাশী করে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, ৪টি দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৪ জনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। মৃতদেহ গুলো ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন কক্সবাজার ভয়েসকে জানিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিম দীর্ঘদিন ধরে উখিয়া ও টেকনাফ এবং মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাত বাহিনী গঠন করে ডাকাতি, খুন, অপহরণ ও ধর্ষণের মতো অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাকে ধরার জন্য বার বার আইন শৃংখলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ শুক্রবার সকালে শীর্ষ ডাকাত আব্দুল হাকিম অবস্থানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু, অভিযানের শুরুতেই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে যায় এবং বরাবরের মতো কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে ডাকাত আব্দুল হাকিমকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।