সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

লামায় সদ্য এসএসসি পাস ছাত্রীর বিষপানে মৃত্যু

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা:
লামায় সদ্য এসএসসি পাস করা রুবিনা আকতার (১৫) নামে এক ছাত্রী বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। মেয়েটি লেখাপড়া করতে চাইলেও তার মা-বাবা জোর বিয়ের আয়োজন করে। মেয়েটি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মা-বাবার বকাবকি ও মারধর করলে অবশেষে অভিমানে সে বিষপান করে।

সোমবার (২৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিষপানের ১দিন পরে পার্শ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি মারা যায়। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় মেয়েটি নিজ বাড়িতে বিষপান করে। রুবিনা আকতার উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আন্ধারী মুজিবরের দোকান এলাকার মোঃ রবিউল হোসেনের মেয়ে এবং সরই উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে এ- পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।

মেয়ের বাবা মোঃ রবিউল হোসেন জানায়, মেয়েটি কথা না শুনলে সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী মেয়েকে শাসন করে। কিছুক্ষণ পরে আমার স্ত্রী বাড়ির পাশে দোকানে চা খেতে যায়। সেখান থেকে বাড়ি এসে দেখে মেয়ে বিষপান করেছে। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় মেয়েটি বিষপান করে। আমরা প্রথমে মেয়েটিকে সরই বাজারে একটি ফার্মেসিতে চিকিৎসা করায়। পরে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে রাতেই পদুয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। পার্শ্ববর্তী মোঃ ইব্রাহিম নামে এক মোটর সাইকেল চালকের সাথে তার বিবাহের কথাবার্তা চলছিল।

মেয়েটির কয়েকজন বান্ধবী জানায়, সে লেখাপড়ায় ভালো ছিল এবং সে আরো লেখাপড়া করার আগ্রহী ছিল।

সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলম বিষপানে মেয়েটি মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদটি শুনে খুব খারাপ লেগেছে। পদুয়া হাসপাতালে লোহাগাড়া থানার পুলিশ লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম প্রেরণ করেছে।

সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ শফিউল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষপানে আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION