সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

যে কারণে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ দান হয়নি

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

মরদেহ দান করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দাফন করা হচ্ছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সাভারে পঞ্চম জানাজার পর নিজের প্রতিষ্ঠিত সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যাম্পাসে তাকে দাফন করা হবে। গত মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার মরদেহ দান করার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপর পারিবারিকভাবে আলোচনার পর আজ বৃহস্পতিবার তার ছেলে বারিশ চৌধুরী জানান, তার বাবার মরদেহ দান করার কথা থাকলেও দুটি হাসপাতালের অপারগতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ দান করার বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে খোঁজ-খবর নেওয়া হয়।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, স্যারের মরদেহ দান করার বিষয়টি কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে হয়নি। তিনি একটি লেখা লিখেছিলেন, সে লেখায় তিনি মরদেহ দান করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। সেই লেখাটি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে সংরক্ষিত আছে। তবে জাফরুল্লাহ স্যার সেই লেখাটিতে সাইন করেননি।

পারিবারিক সূত্র বলছে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার পরিবারের কাছে মরদেহ দান করার বিষয়ে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। সে মোতাবেক তার মৃত্যুর পর স্বজনরা তার ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে দুটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় জানাজার আগে তার সন্তান বারিশ চৌধুরী বলেন, আমার বাবার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল তার দেহ মেডিক্যাল সায়েন্সের জন্য দান করে যাবেন। আমরা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে দান করতে চেয়েছিলাম।

বারিশ চৌধুরী বলেন, আমরা দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে মরদেহ গ্রহণ না করার বিষয়ে জানানো হয়। তারা সম্মান দেখিয়ে বলেছেন, বাবার গায়ে ছুরি লাগাতে পারবেন না। তারা শ্রদ্ধা থেকে এটি জানিয়েছেন।

পরে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু জানান, দুটি হাসপাতাল হচ্ছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিগত পাঁচ-ছয় বছর যাবৎ ঘনিষ্ঠজনদের কাছে মরদেহ দানের বিষয়টি আলোচনা করতেন।

শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু জানান, জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্ট্যাম্পের কাগজে নিজ হাতে এ বিষয়টি একটি লেখায় উল্লেখ করেছেন। যদিও সে লেখাটিতে কোনও দিন-তারিখ উল্লেখ করেননি।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION