সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের পর হঠাৎ করে আড়ালে চলে যান রাশিয়ার ‘কুখ্যাত’ কমান্ডার সের্গেই সুরোভিকিন। ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়া সুরোভিকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ওয়াগনারের বিদ্রোহকে মদদ দিয়েছেন।
ওয়াগনারের ২৩ জুনের সেই ব্যর্থ বিদ্রোহের পর গুঞ্জন ওঠে সুরোভিকিনকে আটক করেছে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি। তবে দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুরোভিকিন এখন বিশ্রামে আছেন। সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, আপাতত এ কমান্ডার কোনো দায়িত্বে নেই।
রাশিয়ার মিডিয়া আউটলেট শ্যুট বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আন্দ্রেই কার্তাপোলোভ নামের ওই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করে, তিনি সুরোভিকিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা। এ প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনীর এ অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বলেছেন, ‘না তিনি এখন বিশ্রামে আছেন, তিনি এখন (দায়িত্বে) নেই।’
আন্দ্রেই কার্তাপোলোভ অবসর গ্রহণের পর রাশিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষের প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে ২০২২ সালের অক্টোবরে সুরোভিকিনকে ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিন মাস পরই আবার তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি রাশিয়ার এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন।
তবে বুধবার (১২ জুলাই) ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, ওয়াগনারের বিদ্রোহের পর সুরোভিকিনকে মূলত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে ক্ষমতাহীন করে রাখা হয়েছে। এটি আরও স্পষ্ট হয়েছে, কারণ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা বৈঠকে সুরোভিকিনের ডেপুটি ভিক্টর আফজালোভের উপস্থিতি বেশি দেখা যাচ্ছে।
জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানায়, ওয়াগনারের বিদ্রোহের ব্যাপারে সুরোভিকিন আগে থেকে জানতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি এ ব্যাপারে কাউকে অবহিত করেননি।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
ভয়েস/জেইউ।