রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ১২:১৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কতটুকু কার্যকর

গোবিন্দ শীল:
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাশ্চাত্য দেশসমূহ বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্র্তৃক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় একক বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১-২২ বাংলাদেশের মোট রপ্তানি ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলারের মধ্যে ১ হাজার ৪২ কোটি ডলারের পণ্য কিনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরের বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে মোট ৯৭০ কোটি ডলারের পণ্য। আশির দশকের শেষের দিকে ও নব্বই দশকের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাক খাতে যে কোটা বরাদ্দ করেছিল, তার ওপর ভিত্তি করেই দেশীয় বিনিয়োগকারীরা খাতটিতে প্রচুর অর্থ লগ্নি করেন, যার সুফল বাংলাদেশ এখন পাচ্ছে। করোনা মহামারীর অব্যবহিত পরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়ে যায়। এ-সময় চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে মার্কিন আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে ক্রয় বাড়িয়ে দেন।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও তার বহুমুখী প্রভাব : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ অফিসের বক্তব্য অনুযায়ী ওয়াশিংটনের বৈদেশিক নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জন করার জন্য তারা এক বা একাধিক দেশের ওপর (Targeted Country) অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ১৯৬০ সালে কিউবা যখন তিনটি মার্কিন পেট্রোলিয়াম পরিশোধন কোম্পানি জাতীয়করণ করে, সে-সময় প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার কিউবার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। প্রায় ২৩টি দেশ এখন মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নিবারণের আওতায় আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো মিয়ানমার, উত্তর কোরিয়া, ইরান, ভেনেজুয়েলা, কিউবা, বেলারুশ, রাশিয়া, জিম্বাবুয়ে ও সিরিয়া। এই নিরোধ মানে হলো টার্গেট দেশ থেকে আমদানি ও রপ্তানি সম্পূর্ণ বা আংশিক বন্ধ। সাবেক ফরাসি কূটনীতিক, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিশিষ্ট গবেষক অগাথ ডেমারেই (Agathe Demarais তার গত বছরে প্রকাশিত বই Backfire : How Sanctions Reshape the World Against U.S. Interests-এ লিখেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা একটি দেশের অর্থনীতির যথেষ্ট ক্ষতিসাধনে সক্ষম হলেও অনেক সময় এই নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও ক্ষতি করে। বইটিতে তিনি বলছেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা হলো অ্যান্টিবায়োটিকের মতো, যা অনেক সময় দরকার হয় কিন্তু এটি খুব সাবধানতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে হয়। এ প্রসঙ্গে ডেমারেই যিনি কিনা এখন ইউরোপীয় কাউন্সিলের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক একজন জ্যেষ্ঠ গবেষক, বলছেন, ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে যে কোম্পানিগুলো কিনা ওয়াািশংটন ও তেহরানের সঙ্গে বাণিজ্য করছিল। এ কারণে ইউরোপের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক টানাপড়েনের মধ্যে পড়ে।

একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, দীর্ঘ মেয়াদে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকলে টার্গেট দেশগুলো বিকল্প ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এতে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষের সঙ্গে ঐসব দেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। সে হিসেবে বলা যায়, উত্তর কোরিয়া ও কিউবায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট ফলপ্রদ হয়নি। উল্টো চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে এসব দেশের বাণিজ্য বেড়ে গেছে। আর উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত বাণিজ্য নিবারণ দিয়ে কোনোভাবেই পিয়ংইয়ংকে বাগে আনা যাচ্ছে না। অর্থাৎ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখানে ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সুনির্দিষ্ট দেশ, ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর বলবৎ হলেও ‘সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা’ ভিন্ন দেশের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের ওপর বাণিজ্য না করার বাধ্যবাধকতা দিতে পারে। বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়ী নিজেরাই সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করে থাকেন। কিন্তু এও ঠিক যে হংকংয়ের কিছু ব্যবসায়ী বাংলাদেশের কাপড় যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজীকরণ করেন। এখন ওয়াশিংটন যদি ‘সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করে তাহলে ঐ কোম্পানিটি বাংলাদেশ থেকে কাপড় কিনে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করতে পারবে না। এমনকি ঐ কোম্পানি বাংলাদেশের কোনো এনজিওকেও টাকা দান বা মানবিক সাহায্য করা থেকে বিরত থাকতে পারে।

ডেমারেই বলছেন রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপের অনেক কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিবারণের আওতায় এসেছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে, তার কারণে ইউরোপের অর্থনীতিতে একটি ঋণাত্মক প্রভাব পড়েছে। অনেকে আগামী বছরগুলোতে ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করছেন। এতে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে, এটি অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষতি করছে। এ যেন খাল কেটে কুমির ডেকে আনার শামিল। যুক্তরাষ্ট্র দুটি উপায়ে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়াটি শুরু করে নির্বাহী ক্ষমতাবলে বা কংগ্রেসে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তবে সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টই নির্বাহী আদেশের ভিত্তিতে এ প্রক্রিয়া শুরু করে থাকেন। এক্ষেত্রে শুরুতে এ-সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর এ জরুরি অবস্থা ও নিজস্ব ক্ষমতাবলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সংশ্লিষ্ট দেশের ওপর নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করতে পারেন।

ডলারের মাধ্যমে লেনদেন কমছে : নানাবিধ নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে ইতিমধ্যে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষতি হওয়া শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ ডলার রয়েছে তার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ রয়েছে বিভিন্ন দেশের কাছে। ২০২২ সালের হিসাবে প্রায় এক ট্রিলিয়ন বা ১,০০০ কোটি ডলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে রয়েছে। তবে অনেকের মতে এই পরিমাণ বাস্তবে আরও অনেক বেশি। সারা পৃথিবীর গড় জিডিপি এ-বছর বাড়ছে ৩ শতাংশ হারে। আর, এ-বছরে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৫ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো। এর ৮০ ভাগ বাণিজ্য হবে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে। পাশাপাশি বৈশ্বিক রিজার্ভের প্রায় ৫৮ শতাংশ (৭.৫ ট্রিলিয়ন ডলার) রাখা আছে মার্কিন ডলারে। তবে, সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো নানাবিধ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক দেশ বাণিজ্য করবার জন্য বিকল্প মুদ্রা বা মুদ্রা ঝধিঢ়-এর কথা ভাবছে। সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিশ্ববাণিজ্যের পরিমাণ মাথায় রেখে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ডলার মুদ্রিত করে। কিন্তু, BRICS-সহ আরও কিছু দেশ বিকল্প মুদ্রার সন্ধানে নেমেছে। এতে করে মার্কিন ডলারের মুদ্রণ কমে যেতে পারে।

চীনের ‘ইউয়ান’ জনপ্রিয় করার উদ্যোগ : বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লে চীন যাতে পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারে, সেজন্য তারা বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে Dual Currency-তে ব্যবসা করার চুক্তি স্বাক্ষর করছে। চীন এটির নাম দিয়েছে Cross-Border Interbank Payment System, (CIPS)। পৃথিবীর প্রায় ১০০টি দেশের ১,৩০০ ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চীনের এ ধরনের চুক্তি হয়েছে। তবে, SWIFT বাthe Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunications-এর মাধ্যমে মার্কিন ডলারে বাণিজ্য করে থাকে প্রায় ২০০ টি দেশ। পৃথিবী জুড়ে SWIFT-এর সঙ্গে প্রায় ১১,০০০ ব্যাংকের চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে চীনের ব্যাংক রয়েছে প্রায় ৬০০। চীন নিজেদের জন্য এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাকবলিত দেশগুলোর জন্য CIPS ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে। ২০১২ সালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে SWIFT যখন ইরানের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ করে দেয়, তখন তেহরান বেইজিং-এর দ্বারস্থ হয়েছিল। দিনে দিনে চীনের ঈওচঝ পৃথিবীর নানা প্রান্তে জনপ্রিয় হচ্ছে।

গত দশ বছর একটানা চীন ছিল ইরানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২২ সালে চীনের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্য দাঁড়ায় ১৬ বিলিয়ন ডলারে। ইরান থেকে চীনের অপরিশোধিত তেল আমদানি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। বলা বাহুল্য চীনের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য বহুগুণ বেড়ে গেছে। ২০২১ সালে চীন রাশিয়ায় ৬৭.৭০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যসামগ্রী রপ্তানি করেছে। গত ২৬ বছরে রাশিয়ায় চীনের রপ্তানি বার্ষিক ১৫.৩০ শতাংশ হারে বেড়েছে। এদিকে, ২০২১ সালে রাশিয়া চীনে ৭০.৯০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। গত ২৬ বছরে চীনে রাশিয়ার রপ্তানি বার্ষিক ১২.৭০ শতাংশ হারে বেড়েছে।

এদিকে, মার্কিন মুদ্রাবলয়ের প্রভাব কাটাতে এবং একটি নতুন ভূ-রাজনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্য নিয়ে ২০১০ সালে ইজওঈঝ গঠিত হয়। মূলত ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া (ভারত) এবং চীন ছিল প্রাথমিক সদস্য। পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এই জোটে যোগ দেয়। গঠনের পর থেকে এই জোটের সদস্যরা ডলারের বিকল্প মুদ্রা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মুদ্রা অনুমোদনের আগ পর্যন্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজেদের মুদ্রায় বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারবে। বাংলাদেশ, আর্জেন্টিনাসহ আরও অনেক দেশ ব্রিকস মুদ্রার প্রতি সমর্থন দিয়েছে। মূলত তিনটি কারণে পৃথিবীর অনেক দেশ ডলারের বিকল্প মুদ্রা খুঁজছে। প্রথমত, ডলারের মূল্যমানের ওপর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের একচ্ছত্র প্রভাব থাকায় অন্য দেশগুলো মার্কিন মুদ্রানীতির বাইরে কিছু করতে পারে না। দ্বিতীয়ত, ছোট ও গরিব বা উন্নয়নশীল দেশের জন্য ডলারে বাণিজ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা এর মূল্য অনেক। আর তৃতীয় কারণ হলো বিশ্ব বাণিজ্য এবং পেট্রোলিয়ামের চাহিদার বৈশিষ্ট্য নিয়ত পরিবর্তিত ও বিচিত্র হচ্ছে। এতে করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিশ্ব বাণিজ্যে ডলারের একচ্ছত্র প্রভাবকে অনেক দেশ আর মেনে নিতে পারছে না। অনেকে বলছেন, ডলারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সমতুল্য করেছে। ফলে নানাভাবে ওয়াশিংটন ডলারে বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে তাদের নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করছে।

এদিকে, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক এক সেমিনারে আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলা হয়েছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে তা দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি একটি বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আলোচনায় বলা হয়: করোনা মহামারী বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্যের হারকে বাড়িয়ে দিয়েছে। কভিডের কারণে ২০২২ সালে বাংলাদেশে নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে পড়ে যান ২৮ লাখ মানুষ। বৈশ্বিক নিম্ন প্রবৃদ্ধি আরে ৫০ হাজার মানুষকে এ বছর দারিদ্র্যসীমায় ঠেলে দিতে পারে। এ বছর একই সঙ্গে বাড়বে অপুষ্টির হার।

সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি ঘটতে পারে তা হলো, বাংলাদেশ চীনের প্রতি আরও বেশি করে ঝুঁকে পড়তে পারে। অর্থাৎ, যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ঢাকার সঙ্গে বেইজিং-এর সম্পর্ক আরও গভীর হতে পারে। পরিশেষে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের ওপর মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে দেশের উন্নয়ন নিঃসন্দেহে বিঘ্নিত হবে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে তার লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে?

লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

govindashil@gmail.com

ভয়েস/আআ/সূত্র: দেশ রূপান্তর

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION