রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফারুক মজুমদার।
আদালত সুত্র জানায়, গত ১৪ আগস্ট মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছিল। শুনানি শেষে রোববার (১৮ আগস্ট) আদালত জামিনের আদেশের জন্য রেখেছিল। আদালত আজ রোববার জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এই মামলায় ৫১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর নগরের পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই। আদালতের আদেশে পরে মিতু হত্যা মামলা যায় পিবিআইয়ের হাতে। হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ বছরের মাথায় ২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআই কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়।
এর পরদিন ১২ মে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মিতু হত্যার সঙ্গে তার স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। ঢাকায় ওই সংবাদ সম্মেলনের পর সেদিনই চট্টগ্রামে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মামলার আইও সন্তোষ কুমার চাকমা।
এরপর ওইদিনই পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন একটি হত্যা মামলা করেন। যাতে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামিসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়। বাবুল ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন তার সোর্স কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা, মুছার ভাই সাইদুল আলম শিকদার ওরফে শাক্কু, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান ও খায়রুল ইসলাম কালু। ওই মামলায় বাবুলকে পিবিআই হেফাজতে নিয়ে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ভয়েস/আআ