রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের তেল বা পারমাণবিক স্থাপনায় নয়, বরং তাদের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করবে ইসরায়েল। বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ কথা বলেছেন। সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত দুই কর্মকর্তা বলেছেন, সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়িয়ে সংঘর্ষের পরিসর সীমিত রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট সোমবার (১৪ অক্টোবর) এ খবর জানিয়েছে।

গত বুধবার প্রায় সাত সপ্তাহ পরে নেতানিয়াহু ও বাইডেনের মধ্যে ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। তাদের কথোপকথন নিয়ে অবগত ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের সামরিক স্থাপনায় হামলা করার সিদ্ধান্তের কথা বাইডেনকে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

এই বিষয়ে হোয়াইট হাউজের তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মতামত শুনেছি। তবে জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে আমরাই শেষ সিদ্ধান্ত নেব।’

দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে ইসরায়েল। ফলে মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী যুদ্ধ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়তেই থাকে। এদিকে, আসন্ন মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকা মার্কিন প্রশাসন আছে বিপাকে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জনসম্মুখে তার অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি প্রতিশোধমূলক হামলার প্রতি কোনও সমর্থন দেবেন না তিনি।

ওই মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপের অভিযোগ এড়িয়ে প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হতে পারে। কেননা, হামলার প্রকৃতি মার্কিন প্রশাসনে প্রভাব ফেলবে। নেতানিয়াহু সেটা অনুধাবন করেই পদক্ষেপ নেবেন বলে ওই কর্মকর্তার ধারণা।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, ইরানের তেল ক্ষেত্রে হামলার ফলে জ্বালানির মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে। আর দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করলে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে আত্মসংযমের আর কোনও রেশই থাকবে না। ফলাফল হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী সর্বাত্মক যুদ্ধ ও এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক শক্তির সম্পৃক্ততার আরও বৃদ্ধি।

গত এপ্রিলেও ইরানের ব্যাপক হামলার জবাবে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। নেতানিয়াহুর সেবারের পদক্ষেপে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবারও একইভাবে পালটা হামলার পরিকল্পনা করছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION