চকরিয়া উপজেলার হারবাংয়ে বহুল আলোচিত মা মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাত ৩টার দিকে তাদেরকে হারবাং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট চুরির মামলায় নির্যাতিত মা মেয়ে সহ ৩জনকে জামিন দিয়েছেন। জামিন প্রাপ্তরা হলেন; চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তির হাট কুসুমপুরের মৃত আবুল কালামের স্ত্রী পারভিন আক্তার(৪০), আবুল কালামের দুই মেয়ে যথাক্রমে সেলিনা আক্তার সেলী(২৮) ও রোজিনা আক্তার(২৩)। তারা বর্তমানে কক্সবাজারে কারাগারে রয়েছেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান জানান; গরু চুরির অভিযোগে মা মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তর হারবাং বিন্দারবানখীল এলাকার মাহবুবুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম (১৯), ইমরান হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০) ও জিয়াবুল হকের ছেলে নাছির উদ্দিন (২৮) কে হারবাং পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোর রাত ৩টার দিকে গ্রেফতার করেছে। চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট ইলিয়াছ আরিফ জানিয়েছেন, তিনি চকরিয়া সিনিয়র জড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নির্যাতিত মা মেয়ে সহ কারা অন্তরীন ৫ জনের জামিন আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব কারান্তরীন পারভিন আক্তার, সেলিনা আক্তার সেলী ও রোজিনা আক্তারের জামিন মঞ্জুর করেছেন। অপর দুই পুরুষ আসামীর জামিন না মঞ্জুর করেছেন।
অপরদিকে কোমরে রশি বেঁধে মা মেয়ে নির্যাতনের ঘটনায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত দলের প্রধান কক্সবাজার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক শ্রাবস্তী রায় সোমবার বিকাল ৩টার সময় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তদন্ত শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন ওই তদন্ত দলকে ৭দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য মা মেয়েকে গত শক্রবার বিকালে গরু চুরির অভিযোগ এনে হারবাংয়ে অতি উৎসাহী কিছু ব্যক্তি কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় মা মেয়েসহ ৫জনকে নির্যাতন শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছিল। পরে তাদেরকে গরুর মালিক দাবীদার উত্তর হারবাং বিন্দারবানখীল এলাকার মাহবুবুল হকের দায়ের করা মামলায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে চালান দিয়েছিল। ওই চকরিয়া জুড়িসিয়াল আদালত থেকে মা মেয়ে সহ ৫জনকে কক্সবাজার কারাগারে প্রেরণ করেছিল। সোমবার তাদের জামিন আবেদন করা হলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মা মেয়েসহ ৩জনের জামিন মঞ্জুর করে অপর দুইজেেনর জামিন না মঞ্জুর করেন। এ ঘটানায় হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম দাবী করেছেন তিনি এ ঘটনার সময় চট্টগ্রামে ছিলেন। তবে তিনি মা মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা মোবাইল ফোনে জানতে পেরে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে গরু চোরে অভিযুক্তদের জনতার কবল থেকে উদ্ধার করে পুলিশের দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করেছেন।