সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

‘আশা করি আদালতে সত্য কথায় বলেছে লিয়াকত’-তদন্ত কর্মকর্তা

বিশেষ প্রতিবেদক:

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামী বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে ১৬৪ ধারামতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতের খাস কামরায় জবানবন্দি দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘সিনহা হত্যা মামলার মুল আসামী র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের অনেক কিছু স্বীকার করেছেন। একারণে তাকে আদালতে আনা হয়েছে। আমি আশা করি আসামী লিয়াকত সব সত্য গুলো আদালতের কাছেও স্বীকার করবে।’

এর আগে রবিবার দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিক্ষার পর লিয়াকত আলীকে সরাসরি আদালতে নিয়ে আসে র‌্যাবের একটিদল।

গত শুক্রবার উক্ত মামলায় তৃতীয় দফায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তৃতীয় দফায় তিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন লিয়াকত।

মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় আত্মসমর্পণের পর গত ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালসহ সাত পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর সাত দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট আরো সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল র‌্যাব। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ওই চার দিন রিমান্ড শেষ হলে তদন্তের স্বার্থে তৃতীয় দফায় আরো চার দিনের আবেদন করা হলে গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরমধ্যে এপিবিএনের তিন পুলিশ সদস্য পৃথকভাবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দি দেন। যার কারণে এ তিন পুলিশ সদস্য কারাগারে রয়েছেন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION