অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রায় ৬ ঘন্টা জবানবন্দি গ্রহনের পর বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তাদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ৪ পুলিশ সদস্য হলেন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চার পুলিশ সদস্যকে আদালত প্রাঙ্গনে নিয়ে আসে তদন্তকারী সংস্থা র্্যাব। সকাল ১১ টার দিকে পৃথক চার পুলিশ সদস্যকে জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত। এরমধ্যে কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেনকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এবং কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে জবানবন্দি নেয়া হয় ।
এর আগে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম।
গত ২৪ আগস্ট তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ। গত ৬ সেপ্টেম্বর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় র্্যাব।
এ মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে এর আগে প্রধান আসামি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৮ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
এর আগে পুলিশের অপর তিন সদস্য ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এএসআই নন্দ দুলালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রদীপকে চার দফায় ১৫ দিন এবং লিয়াকত ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে তিন দফায় ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়। লিয়াকত ও নন্দ দুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও প্রদীপ রাজি হননি। তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এপিবিএন এর ৩ সদস্য সহ এপর্যন্ত ১২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ভয়েস/আআ