সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৯:১৩ অপরাহ্ন
ধর্ম ডেস্ক:
দান করতে হয় নিজের প্রয়োজনে। দানের মাধ্যমে গ্রহীতার প্রতি অনুগ্রহ করা হচ্ছে এমনটি নয় কখনো; বরং তার প্রাপ্য ও অধিকারটাই তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘আর যাদের সম্পদে নির্ধারিত ‘হক’ (অধিকার) রয়েছে যাঞ্চাকারী ও বঞ্চিতদের।’ সুরা মাআরিজ : ২৪-২৫
সুতরাং দানকারীর মানসিকতা থাকবে, দান করছি নিজের প্রয়োজনে। গ্রহীতা ‘দান’টা গ্রহণ করে আমার প্রতিই এক ধরনের করুণা করল!
ইসলামি স্কলাররা আরও বলেন, সাধ্য অনুযায়ী অল্প হলেও দান করা। কারও মনে এ ভুল ধারণা জন্মাতে পারে, দান করার সাধ্য কি আমার আছে? না, হতাশার কোনো কারণ নেই! আল্লাহর রাস্তায় দান করার জন্য কাড়ি কাড়ি অর্থ লাগে না। ইসলামের শিক্ষা হলো যার হাতে যতটুকু রয়েছে, সাধ্যের ভেতর থেকে দান করবে। একনিষ্ঠতার সঙ্গে হালাল রিজিক থেকে দান করলে ‘সামান্য অর্থ’ও আল্লাহ গ্রহণ করবেন, এর বিনিময়ে দান করবেন পাহাড়সম নেকি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি। তাই তো হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য এক টুকরো খেজুর হলেও দান করতে বলেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করো, খেজুরের এক টুকরো (পরিমাণ সদকা করে) হলেও। সহিহ বোখারি : ১৪১৭
সুতরাং দান করার জন্য অঢেল অর্থের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন একনিষ্ঠ নিয়ত আর হালাল রিজিকের।
আরেকটি কথা, দান গোপনে করতে পারলেই বেশি ভালো। দান করব এমন চুপে চুপে, যাতে কোনো ধরনের আত্মপ্রচারের শিকার হতে না হয়। ডান হাত দান করবে তো বামহাতও যেন টের না পায়। হাদিসে এসেছে, সাত ধরনের ব্যক্তিকে আল্লাহ তার ছায়ায় আশ্রয় দান করবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো যে এমনভাবে দান করে যে, ডানহাতে দান করলে বামহাতও টের পায় না। সহিহ বোখারি : ১৪২৩
তবে হ্যাঁ, কখনো গোপনে দান করার চেয়ে প্রকাশ্যে দানের মধ্যেও নিহিত থাকে অনেক কল্যাণ। যেমন দানের মাধ্যমে অন্যদের উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করা। এটাও যে দানের একটা গুরুত্বপূর্ণ খাত, সেদিকে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা ইত্যাদি। প্রকাশ্যে দান করা মানেই মন্দ নয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা দান-সদকা যদি প্রকাশ্যে দাও, সেও ভালো আর যদি তা গোপনে গরিবদের দান কর, তবে তা তোমাদের পক্ষে কতই না শ্রেয়!’ সুরা বাকারা : ২৭১
ভয়েস/আআ