শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

অস্থিতিশীল বাজার,লাগাম টানা না গেলে দায়ভার সরকারের

বদরুল ইসলাম বাদল,ফাইল ছবি

বদরুল ইসলাম বাদল:
উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য যাত্রা পথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।দেশের প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক সূচকে চমৎকার অগ্রগতি প্রশংসনীয় । কিন্তু দুর্ভাবনার বিষয় হলো দেশে এতো উন্নয়নের মাঝেও মানব সম্পদ গড়ে তুলতে সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যর্থ হচ্ছে।সমাজ বিজ্ঞানীদের অভিমত, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিকতা নিয়ে গড়ে তুলতে না পারলে উন্নয়ন মুখথুবড়ে পড়বে।বাজার অর্থনীতির বদৌলতে পুঁজির বিকাশের সাথে এখন মানুষের মধ্যে লোভবাসনা,সন্ত্রাস নিষ্ঠুরতার প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সমাজে চাপা পড়ে যাচ্ছে মনুষ্যত্ব ও বিবেক।তাই দিনদিন কিছু মানুষ পশুর চেয়েও নিষ্টুর অমানবিক হয়ে যাচ্ছে। সাধারণত মানুষ জন্মগতভাবেই ধন, সম্পদ আর নেতৃত্বের প্রতি লোভের আসক্তি এড়িয়ে চলতে পারে না ।আর এই লোভী মনোভাব চরিতার্থ করতে মানুষ বর্তমানে হয়ে পড়ছে বিবেক বিবর্জিত আর মানবতাকে করছে বিপন্ন।সাম্প্রতিক সময়ের উখিয়ার কসাই মাবু তার অনন্য নিকৃষ্টতম উদাহরণ।

গরুর মাংসের নামে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করেছে উখিয়ার কসাই মাহবুব।পত্রিকান্তরে প্রকাশ, তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২৫ থেকে ৩০ টি অসুস্থ ঘোড়ার মাংস বিক্রি করেছে সে।শবেকদরের দিনেই তার এই অসাধু কাজ ধরা পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।এই ঘটনা সামনে আসার পরে পত্র পত্রিকায় নিন্দার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের বন্যা বয়ে যায়। অবশেষে কসাই মাহবুব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।প্রতিবাদে সমাজ সচেতন মানুষ বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসে। সামাজিক সংগঠন Save The Nature of Bangladesh কক্সবাজার শাখার উদ্যোগে জেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের সামনে বিক্ষুদ্ধ জনতা প্রতিবাদ সভা করে।সভা থেকে জেলা প্রাণীসম্পদ অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভোক্তাদের পক্ষে ১১ দপা দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি প্রদান করে এই সংগঠন ।সভায় কসাই মাহবুব সহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় সাধারণ মানুষ।

দ্রব্য মুল্যের উর্ধ্বগতি কোন অবস্থায়ই রোধ করা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই বাজারে কোন না কোন দ্রব্যের দাম চড়া হয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।বাঙালী সংস্কৃতিতে মুখরোচক খাদ্যের তালিকায় গরুর মাংসের চাহিদাই বেশি । বিয়েশাদী,মাহফিল সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা দাওয়াতে গরুর মাংস ছাড়া কল্পনা ও করা যায় না।অতিথি পারায়ণ বাঙালীদের খাবার টেবিলে গরুর মাংস ছাড়া চলে না।কিন্তু বর্তমানে আটশো টাকা কেজি ধরে মাংস কিনতে গিয়ে মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে।তাই বাধ্য হয়ে অনেকে গরুর মাংসবিমুখ হয়ে যাচ্ছে।বাজারে কয়েকজন ক্রেতার সাথে আলাপ করে জানা যায়,মাংসের দাম পাঁচশ টাকা পর্যন্ত অনেকটা ঠিক ছিল। কিন্তু আটশো টাকা অনেক অনেক বেশি। তাই অতি দায়ে না পড়লে মানুষ এখন মাংস মুখী হতে চায় না।অন্যদিকে মাংস ক্রয় করতে গিয়ে মাংসের দোকানে অনেক প্রতারণার স্বীকার হয় ক্রেতারা ।পঁচাবাসি মাংস ঢুকিয়ে দেওয়া, ওজনে কম দেওয়া সহ নানাবিধ প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে ভোক্তা মহল। মাছ মাংসের বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছে মানুষ, দেখারও যেন কেউ নাই। অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা মাছের সাথে রং মিশিয়ে ক্রেতাদের নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ফলমূল, সবজিকে তাজা দেখানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক মিশানো হচ্ছে।অনিয়ন্ত্রিত অনিয়মের যাঁতাকলে ঠকেই চলছে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে গরুর মাংসের নামে ঘোড়ার মাংস বিক্রির খবরে রুচিতে বাধছে উদার রক্ষণশীল সমাজের বাঙালী মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন।ফলে বাজারের মাংসের প্রতি সন্দিহান বেড়ে যাচ্ছে। সন্দিগ্ধ মনোভাব অরুচি সৃষ্টির কারণ হয়ে গেলে বিভিন্ন পীড়ায় সম্মুখীন হতে পারে মানুষ। তাই প্রয়োজন প্রশাসনের সার্বক্ষণিক নজরদারি। বাজার করতে আসা অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন,”ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানুষ ক্রেতা সেজে বাজারে তদারকি করতে পারলে ভোক্তা অধিকার অনেকটা নিশ্চিত করা যেতে পারে।তখন অসাধু বিক্রেতাদের হাতেনাতে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সহজ হবে”।

এই পর্যায়ে আমি নিজে ভুক্তভোগী হিসাবে একটি অভিজ্ঞতা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। কিছুদিন আগে চকরিয়া মাংস বাজারের দোকান থেকে তিন কেজি মাংস নিয়েছিলাম।বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল অর্ধেক মাংসই খাবার অযোগ্য। আবার দুয়েক দিন পর এককেজি মাংস নিতে গিয়ে ধরা পড়ে মাংসবিক্রেতার কারসাজি।মাংসের সাথে শুধু একটুকরো হাড্ডি দেবার শর্তে ৭৫০ টাকায় দামঠিক হয়।যে হাড্ডির টুকরোটি দেওয়া হবে সেটা ও দেখানো হয়েছে। মাংস নেয়ার পর চেক করতে গিয়ে দেখা গেল যে ৬০০ গ্রামের মতো পেস্সা ও হাড্ডি। মাংসবিক্রেতা কখন কিভাবে আমার চোখের সামনে এগুলো ডুকিয়ে দিয়েছে বুঝতেই পারিনি।পরে বিষয়টি বুঝতে গিয়ে দেখা গেল একটি মাংসের দোকানে অন্তত তিনজন করে মানুষ কাজ করে । কাস্টমারকে তিনজনই একসাথে কথায় কথায় বিভ্রান্ত করার ফাঁকে কৌশলে এই কারসাজি করে থাকে তাঁরা ।কিভাবে চোখের সামনে এই অপকৌশলের মাধ্যমে কাস্টমারকে ঠকিয়ে থাকে বিষয়টি বুঝার জন্য মাংসের দোকানে কিছুটা সময় ব্যয় করি।দেখতে পেলাম মাংস পরিমাপের জন্য একটি বড় গাবলা ব্যবহার করে তারা।সে গাবলার এককোনায় একটি চর্বির পিস বা বড়ো হাড্ডির টুকরো আগে থেকে লুকিয়ে রাখে।আবার যিনি চাকু চালিয়ে মাংস কাটে সে ঝুলানো মাংস থেকে কেটে আগের রাখা টুকরো মাংসের উপর ফেলে।তখন ক্যাশ বাক্সের পাশে বসা বিক্রেতাটি ঐ মাংস নিয়ে ওজনে দেয়ার সময় কৌশলে পুরানো মাংস থেকে সাথে নিয়ে ওজনে রাখে।ফলে চোখের সামনেই তাদের তেলেসমাতি সহজে বুঝা সম্ভব হয় না।এভাবে পঁচাবাসি মাংসও বিক্রি হচ্ছে অহরহ ।দোকানদারদের নিখুঁত কারসাজির কারণে ধরা পড়ার ঘটনা খুবই কম। মে মাসের দুই তারিখ তেমনই একটি ঘটনা রামু চৌমুহনীতে প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে। গরুর নষ্ট মাংস বিক্রি করার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা পড়ে রামুর কসাই নুরুল ইসলাম।সেখানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে তাকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন রামুর মাননীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায় যে,চট্টগ্রামের একটি মুরগী মার্কেটে মুরগীর ওজন কম দেওয়ায় হাতেনাতে ধরা পড়ার ফলে দোকানদারকে গুনতে হয় পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা।ওজন কারচুপির খবর প্রায় সময়ে পত্রিকায় ঘুরেফিরে আসে। মরা মুরগী দেওয়ার অভিযোগও অনেক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে । তবে দোকানদারদের নিখুঁত কারসাজির কারণে ধরা পড়ার ঘটনা খুবই কম। কাস্টমারদের তাড়াহুড়া করার সুযোগটা অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে থাকে বেশী। বাজারে মুরগীর দামও চড়া এবং অনিয়ন্ত্রিত। ফলে মানুষ হারাচ্ছে ক্রয়ক্ষমতা। ঈদ পরবর্তী দ্রব্যমুল্যের বৃদ্ধি যেন পাগলা ষাঁড়ের মত ছুটছে লাগামহীন। অস্থিতিশীল বাজারের এই সময়ে গরীব অসহায় মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গুলো অসহায়, বাজার করতে গিয়ে অনেকে কেঁদে ফেলছে।বাজারে সব জিনিসের দাম বেশী। কোনকিছুরই নিয়ন্ত্রণ নাই।পন্যের সরবরাহ ও যথেষ্ট আছে বাজারে।তবুও বিভিন্ন অজুহাতে কাঁচাবাজারের সকল জিনিসের দাম চড়া।সাধারণ ক্রেতাগণ বাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে চরম হতাশ। অন্য দিকে ওজন কম দেওয়া অনেক বিক্রেতাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। ওজনে কম দেওয়া একটি জঘন্যতম নৈতিক অপরাধ ।জাতির জন্য এই বিষয়গুলো বড়ই দুর্ভাগ্যের।অস্থিতিশীল বাজারে মানুষের অসহায়ত্বের সময়কালে ওজন কারচুপি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জনগণের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হলে তার দায় রাষ্টকেই নিতে হবে। পবিত্র কোরানে এটাকে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী চরিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।হাদিস শরীফে আছে, “যে জাতি ওজন কম দেবে,সে জাতিই দুর্ভিক্ষ, কঠিন খাদ্য সংকট এবং শাসকগোষ্টির অত্যাচারের স্বীকার হবে”।(ইবনে মাজাহ-৪০১৯)।ইতিহাসের পিছনের দিকে তাকালে দেখা যায়,সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজির আমলে ওজনের কম দেওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে এক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।তিনি ঘোষণা করেন যে,ওজন যত কম দেওয়া হবে, তার দ্বিগুণ পরিমাণ মাংস অসাধু ব্যবসায়ীদের দেহ থেকে কেটে রাখা হবে।এভাবে কয়েকজনের দেহ থেকে গোশত কাটা শুরু করলে সারা সাম্রাজ্যে দুই নম্বরি ব্যবসায়ীদের বুক কেপে উঠে”।ফলে অসাধু ব্যবসায়ীদের শঠতা পুরাপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সারাদেশে কাঁচাবাজার গুলোতে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করেই চলছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়ানো অন্য দিকে ওজনে কম দেওয়া থেকে নিস্তার পাচ্ছে না ক্রেতাগণ। গত কয়েক বছর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ওজনে কারচুপি ঠেকাতে সঠিক পরিমাপের নিমিত্তে “ওজন বন্ধু” সেবা কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল।এই কর্মসূচির আওতায় অধিদপ্তর এবং বাজার কমিটির সমন্বয়ে ওজন যাচাই করার জন্য নিক্তি বসাবে।অধিদপ্তরের অভিমত পণ্য ক্রয়ের পর ক্রেতাগন সন্দেহ করলে সেখানেই ওজন করে নিশ্চিত করতে পারে। তখন বিক্রেতাদের অসাধুতা ধরা পড়লে তাত্ক্ষণিক শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হবে। শুরুতে ঢাকার কয়েকটি বাজারে পরীক্ষামুলক এবং পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বাজারে এই পরিসেবা চালুর কথা দিয়েছিল অধিদপ্তর।পরে এই কর্মসূচি যতদুর মনে হয় আর অগ্রসর হয় নাই।তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রতিটি বাজারে “ওজন বন্ধু” সেবা চালু করা গেলে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে, মনে করে বাজার বিশ্লেষক মহল।ওজন কারচুপি একটি জঘন্যতম নৈতিক অপরাধ। ব্যবসায়ীরা এসব কাজে জড়িয়ে পড়লে জাতীয় জীবনে দূর্যোগ নেমে আসবে।বাজার নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন আছে। কিন্তু অনেকে ভোক্তা অধিকার আইন সম্বন্ধে জানে না।তাই দরকার এই আইন নিয়ে প্রচারণা। ।সাধারণ ভোক্তাদের আইনের অনুশাসন বিধিবিধান গুলো অবগত করানোর জন্য জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে হবে।সরকার নিজের দায়বদ্ধতা থেকে এমন প্রচারণা কর্মসূচি চালাতে পারে। আমাদের দেশের চিরকালই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট নামক একটি অদ্ভুত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসছে । যাকে দেখা যায় না খালিচোখে, কিন্তু প্রতিনিয়ত ঘুরেফিরে আমাদের চারিপাশে, অলিগলিতে, রাজনৈতিক মাঠে বিরোধীদলীয় কাতারে এমনকি কতিপয় সমাজ সেবার কার্যক্রমের সাথে মিশে আছে । তাই সনাক্ত করা কষ্ট সাপেক্ষ হলেও সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সিন্ডিকেটের দুর্গের লাগাম টানা যাবে। সরকার যতই উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে সুসংবাদ দিয়ে থাকুন না কেন সাধারণ মানুষ দ্রব্য মুল্যের কারণে ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে সরকার নিশ্চিত জনপ্রিয়তা হারাবে। উল্লেখ্য যে,বাজারে কৃষিপন্যের মুল্য বৃদ্ধিতে উত্পাদক কৃষকদের কোন লাভ না।মধ্যস্বত্তলোভী দালাল গোষ্ঠী চাষীদের সিন্ডিকেটের ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করে এবং ভোক্তাদের সাথে ও জঘন্য শঠতা করে।তাই এমন পরিস্থিতি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে দরকার প্রশাসনের জোরদার নজরদারি। কঠোর শাস্তির আইন তৈরি এবং তার বাস্তবায়নে কঠোর হওয়া।নৈতিকতার চর্চা, প্রশাসনের সুনজর সর্বোপরি সাধারণ মানুষের সচেতনতার মাধ্যমে খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।পাশাপাশি বাজার মনিটরিং সব সময় জারি রাখতে হবে।

পরিশেষে কক্সবাজার প্রিপারেটরী স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম সাহেবের ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে একটি উপলব্ধি তুলে ধরছি, তিনি লিখেছেন, আজ ভোরে হাঁটাহাঁটি শেষে বাসায় ফেরার আগে আমাদের বড় বাজারে গেলাম। উদ্দেশ্য কিছু বাজার সদাই করবো। দেখলাম নিত্যপণ্য পাগলা ঘোড়ায় সওয়ার হয়েছে। তাই নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী”র “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি” কবিতাটি আওড়াতে আওড়াতে বাড়ি ফিরলাম —( কবিতা)

” এর নাম বেঁচে থাকা একি জীবন নাকি
এতো এক যাঁতাকলে ঢুকে যাওয়া পাকাপাকি
এ কোন বাঁচার ধারা এতো স্রেফ বেঁধে মারা
লোহার গারদে ঘেরা এ আমি কোথায় আছি
ঢের হল এই বার ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি”।

লেখক -সদস্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION