রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৫ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ড্রাইভার মালেকের মতো দুর্নীতিবাজ আরও বের হবে: স্বাস্থ্যসচিব

গাড়িচালক আব্দুল মালেক।

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

গাড়িচালক আব্দুল মালেকই শুধু নয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ ধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী আরও যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে বলে স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান জানিয়েছেন।

সোমবার সচিবালয়ে সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সচিব বলেন, আমাদের যে নিয়ম আছে তাতে তার ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শুধু তাই নয়, আরও যারা এ রকম আছে তাদের ব্যাপারেও প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আরও এ রকম আছে, আরও আসবে।

তিনি বলেন, আমরা বলব দুর্নীতি করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আমরা কাউকে ছাড়তে চাচ্ছি না। যাদের বিরুদ্ধেই কথা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলাদিনের চেরাগ হিসেবে পরিচিত আবদুল মালেক (৬৩)। ১৯৮৬ সালে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক হিসেবে চাকরি নেন। চাকরির পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র, জাল নোটের কারবার ও চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন মালেক। অবৈধ টাকায় রাজধানীর তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় দুটি ৭ তলা বিলাসবহুল ভবন, ধানমন্ডির হাতিরপুল এলাকায় সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন করেছেন। দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জমিতে রয়েছে একটি ডেইরি ফার্ম। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে তার বিপুল অঙ্কের অর্থ থাকার তথ্যও জানিয়েছে র‌্যাব।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার গভীর রাতে কামারপাড়া বামনেরটেক ৪২ নম্বর হাজী কমপ্লেক্স ভবন থেকে আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১। এ সময় তার থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি ও দেড় লাখ টাকা মূল্যের (বাংলাদেশি) জাল নোট জব্দ করা হয়।

মালেকের দুর্নীতির বিষয়ে দুদক কাজ করছে বলে জানান স্বাস্থ্য সচিব।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, করোনাভাইরাসের ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ শুরু হলে করণীয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব কোভিড হাসপাতালকে নন-কোভিড করা হয়েছে, প্রাদুর্ভাব আবার বাড়লে সেগুলোকে কীভাবে আবার কোভিড হাসপাতাল করা যায় তাৎক্ষণিকভাবে সে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যসচিব জানান, কোভিডের টিকা উন্নয়নে কাজ করছে এমন অন্তত পাঁচটি দেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ। টিকা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রাখা হয়েছে। সূত্র:দেশরূপান্তর।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION