রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
৩৬টি জেলার ১৫২টি উপজেলায় মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৪২টি জেলে পরিবারের জন্য ২০ কেজি হারে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন জেলেদের জন্য ১০ হাজার ৫৬৬ দশমিক ৮৪ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
শুক্রবারে (২ অক্টোবর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩৬টি জেলার ১৫২টি উপজেলায় মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৪২টি জেলে পরিবারের জন্য ২০ কেজি হারে চাল প্রজনন মৌসুম শুরুর আগেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ মৌসুমে গত মৌসুমের তুলনায় অতিরিক্ত ১ লাখ ২০ হাজার ২৬৩টি জেলে পরিবারকে এ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী জ্ঞাপন করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিজিএফ চাল আগামী ৩০ অক্টোবর ২০২০’এর মধ্যে উত্তোলন ও জেলেদের মাঝে বিতরণ শেষ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত ও প্রকৃত জেলেদের মধ্যে এ ভিজিএফ বিতরণ নিশ্চিত করার জন্য বরাদ্দপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,বরাদ্দপ্রাপ্ত ৩৬টি জেলা হচ্ছে- ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, নরসিংদী, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কক্সবাজার, খুলনা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা ও ঝালকাঠি।
উল্লেখ্য, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে “প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০”এর অধীনে প্রস্তুত “প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫” অনুযায়ী এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন।
ভয়েস/জেইউ।