শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৮ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মধ্যরাতের পর থেকে জেলেরা মাছ ধরতে পারবে

ফাইল ছবি

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

২২ দিন পর বুধবার (৪ নভেম্বর) রাত ১২ টার পর থেকে উঠছে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা। ফলে বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) থেকেই বাজারে মিলবে ইলিশ।

মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

১৯৫০ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস অ্যাক্ট, ১৯৫০) অনুযায়ী প্রতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের একটি নির্দিষ্ট সময় ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণবিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড পেতে হবে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে শাস্তি দ্বিগুন হবে।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এ সময়ে অনেক জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে অবৈধ জাল।

নিষিদ্ধ সময়ে সারাদেশের মাছের ঘাট, মৎস্য আড়ত, হাট-বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধন ও তদারকির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করে।

অপরদিকে ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৬ জেলায় প্রশাসন এবং জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে যথাযথভাবে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে কি না- হাট-বাজারে ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয় কিংবা মজুত ও পরিবহন হচ্ছে কি না এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় বরফকল বন্ধ আছে কি না, সে বিষয়ে অভিযানিক এলাকা পরিদর্শন ও তদারকির জন্য মন্ত্রণালয়ের ২২ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেয়া হয়।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, আড়ত, বাজার, সুপারশপ ও ইলিশ মাছ প্রাপ্তির সম্ভাব্য স্থানে দৈনিক নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য মৎস্য অধিদফতর গঠিত ৮টি মহানগর মনিটরিং টিম কাজ করেছে।

তাছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করে মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত অভিযান ও মোবাইল কোর্ট এবং ভিজিএফ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তদারকিসহ প্রতিদিন মৎস্য অধিদফতরে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ৫টি বিভাগীয় মনিটরিং টিম কাজ করেছে।

বিভাগীয় মনিটরিং টিম, জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত অভিযান ও মোবাইল কোর্ট এবং জেলেদের ভিজিএফ বিতরণ কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদফতর গঠিত ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটি কাজ করেছে। সূত্র:জাগো নিউজ।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION