শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের যৌক্তিকতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরে বাংলাদেশ বলেছে, এ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। রোহিঙ্গাদের নিজ ইচ্ছায় ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরেন জেনিভায় জাতিসংঘ দপ্তরে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
এ সময় তিনি স্থানান্তরের পেছনে কক্সবাজারে সীমিত জায়াগায় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান, জীবন-জীবিকার অনিশ্চয়তা, স্থানীয় আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত অবস্থার চরম বিপর্যয় এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও উন্নত জীবনমান, জীবিকা ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ইচ্ছায় ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভাসান চরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সন্তোষ প্রকাশের বিষয়টির প্রতিও হাই কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে গত তিন বছরেও রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি।
মিয়ানমারের রাখাইনে যথাযথ পরিবেশ তৈরি এবং রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ সমস্যার টেকসই সমাধানে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান বাংলাদেশি দূত।
তিনি প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আসিয়ান ও মিয়ানমারে বিনিয়োগকারীসহ সব দেশের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান করতে হবে বলে একমত পোষণ করেন হাই কমিশনার।
ভয়েস/আআ