বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
বশির আল মামুন, চট্টগ্রাম ব্যূরো:
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (চউক)এ এবার বিএনপি- জামায়াত পন্থি কর্মকর্তা- কর্মচারীরা পদোন্নতি পেয়েছেন। ধরাশায়ী হয়েছে আ:লীগ পন্থিরা । সাবেক চেয়ারম্যান বিদায় নেয়ার সময় যাদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে তাদের এক তৃতীয়াংশ জামাত ঘরনার কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বর্তমানে আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান বহাল থাকলেও অফিসিয়াল কাজ চলে জামাতিদের ইশারায়। নির্লোভ নিরহংকারী জমিদার বংশীয় চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাস চউকে যোগদান করার পর থেকে যে কয়জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে এবং ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে তার মধ্যে অথরাইজড অফিসার দুই এর তিন জনই কর্মকর্তাই জামাতের চিহ্নিত ব্যক্তি। তাদেরমধ্যে দুইজন সহকারী অথরাইজড অফিসার দীঘ ১০/১৫ বছর যাবৎ একই পদে কর্মরত রয়েছে। ফলে তাদের দূর্ণীতি -অনিয়মে সেবা গ্রহীতারা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান ও দুইজন সহকারী অথরাইজড অফিসার সিন্ডিকেটের কাছে বিল্ডিং এর নকশা জমাদানকারীরা প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছে। নকশা অনুমোদনের জন্য সরকারী ফি জমা দেওয়া সত্বেও ইমারত পরিদর্শকরা তলা অনুযায়ী উৎকোচ না দিলে সাইট তদন্ত রিপোর্ট দেয় না।যেমন ৩ তলা নকশায় ১০ হাজার, ৭ তলা থেকে ১০/১১ তলা ৪০/৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অথরাইজড অফিসারকে ঘুষ দিতে হয় । কাগজপত্রে একটু গড়মিল থাকলে ৫/১০ লাখ টাকা পযন্ত ঘুষ আদায় করে থাকে তারা। চুড়ান্ত ভাবে অনুমোদিত ফাইল ঘুষ না দিলে সাইড ভিজিটের বাহানা দিয়ে মাসের পর মাস রেখে দেয়া হয় ইমারত পরিদর্শকের কাছে। বিধি অনুযায়ী চউক’এ ইমারত নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব হতে হলে নিবাহী প্রকৌশলী পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে পদায়ন করা দরকার। সেক্ষে বিএনপি পন্থি জনৈক তত্বাবদায়ক প্রকৌশলীর কুটকৌশলে মন্ত্রনালয়কে ভুল তথ্য দিয়ে দুইজন সহকারী প্রকৌশলীকে অথরাইজড অফিসার হিসাবে পদায়ন করা হয়। যা রীতিমতো নিয়ম নীতির বাইরে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, এই তিন কর্মকর্তার রয়েছে নিজস্ব কনসালটেন্ট ফার্ম।এই ফার্মের মাধ্যমে তারা কাজ হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের ইচ্ছে মত কাজ করে ফায়দা লুঠছে।তাদের কাছে সকল অনিয়ম গুলোয় হচ্ছে নিয়ম। যতসব আইন শুধু সেবা গ্রহনকারীদের জন্য।এই কর্মকর্তাদের রয়েছে বহিরাগত বেশ কিছু লোকজন। তাদের মাধ্যমে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন অফিসিয়াল অনিয়ম করছে।
ভয়েস/আআ