সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বাবুল আক্তারের সন্তানের খোঁজে আদালতের দ্বারস্ত তদন্ত কর্মকর্তা

বাবুল আক্তার-ফাইল ছবি

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের মা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার ‘গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী’ হিসেবে বাবুল আক্তারের ছেলে ও মেয়েকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হওয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।

তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন আমলে নিয়ে রোববার (১৩ জুন) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান কারাগারে থাকা সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবুকে এ আদেশ দিয়েছেন। রোববারই আদালতে আবেদনটি করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

জানতে চাইলে পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা , ‘আসামি বাবুল আক্তারের ছেলে ও মেয়ে অর্থাৎ দুই সন্তানই আমাদের মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। কারণ ছেলের সামনেই তার মাকে খুন করা হয়েছে। সুতরাং ছেলে-মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা খুবই জরুরি। আমরা গত ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি। বারবার হাজির করতে বলার পরও করেনি। বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে রেখেছেন মর্মে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’

বাবুল আক্তারের ছেলের বয়স ১২ বছর এবং মেয়ের বয়স সাত বছর। মিতুকে হত্যার পর তাদের নিয়ে বাবুল আক্তার কিছুদিন শ্বশুরের বাসায় অবস্থান করলেও পরে সেখান থেকে চলে যান এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন বলে মিতুর পরিবারের অভিযোগ।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

হত্যাকাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআই’র ওপর। এরপর আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী চাঞ্চল্যকর এই মামলার।

গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। একইদিন (১২ মে) দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া।

মামলা করতে এসে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, চার বছর ধরে তাদের সঙ্গে মিতুর ছেলেমেয়েদের কোনো যোগাযোগ নেই। তারা নাতি-নাতনির মুখও দেখতে পারছেন না। বাবুল আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে মিতুর ছেলেমেয়েদের তাদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন।

১২ মে বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION