শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘আম্পান’। এর প্রভাবে কক্সবাজারের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ উপজেলায় প্রচণ্ড বাতাস বইতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকাল থেকে দ্বীপের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপের অর্ধশতাধিক লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ”আম্পান” মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জনসাধারণকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপসহ কয়েকটি এলাকা অতি ঝুকিঁপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগে এ সব এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে লোকজনকে জোর করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। পাশপাশি দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য শুকনা খাবার প্রস্তুত রেখা হয়েছে।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, ‘উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে দ্বীপের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং চলছে। তাছাড়া বিকাল থেকে দ্বীপে বৃষ্টি না হলেও প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের একটি টিম, রেডক্রিসেন্টের লোকজন ও দ্বীপে দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের দিয়ে জোর করে দ্বীপের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।’
দ্বীপের বাসিন্দা নূর মুহাম্মদ বলেন, ‘বিকাল থেকে দ্বীপে বাতাস বেড়েছে। ফলে দ্বীপের চেয়ারম্যানসহ একটি দল মাইকিং করে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। তবে মাইকিং করা হলেও এখনও তেমন কেউ সাড়া দিচ্ছে না।’
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় সেন্টমার্টিনসহ সব ইউনিয়নে জরুরি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া এমার্জেন্সি সেবা দিতে সেন্টারে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আম্পান মোকাবিলায় জেলার উপকূলীয় এলাকার মানুষের নিরাপত্তায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র, ২৫টি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয় নিতে পারবেন। বিশেষ করে কুতুবদিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিনসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশপাশি করোনা আক্রান্তদের আলাদা করে রাখার ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।’ সুত্র,বাংলাট্রিবিউন।
ভয়েস/আআ