শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণে প্রথমদিনে ১ জনের সাক্ষ্যগ্রহন শেষ হয়েছে। এসময় <span;>মিডিয়া ট্রয়াল থেকে সতর্ক থাকতে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহন চলে। দিনব্যাপী আদালতে মোহাম্মদ আলী নামের মামলার ৩নং সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার মধ্যে শেষ হয়।
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ‘রবিবার সারাদিন মামলার ৩নং সাক্ষী মোহাম্মদ আলীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে উক্ত মামলা নিয়ে আদালতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলতে। যাতে কোন মিডিয়ার ট্রেয়াল না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে আদালত।’
অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত জানান, ‘মামলার তৃতীয় সাক্ষী মোহাম্মদ আলীকে জেরা করার সময় তিনি যে কথাগুলো বলেছেন তা অস্পষ্ট এবং এতে গরমিল রয়েছে। তা আমরা আদালতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত আরো জানান, ‘সুষ্ঠু ও ন্যায়ার বিচারের সার্থে আদালত চান না উক্ত মামলার বিষয় গুলো মিডিয়া আসুক। সুতারাং এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের আইনজীবীদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত।’
এর আগে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার ১নং সাক্ষী ও বাদি শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস ও ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহন শেষ করেন আদালত।
সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সকালে সাড়ে ৯টারদিকে সাবেক বরখাস্ত ওসি প্রদীপ সহ আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করে। এরপর মেজর সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত ২৪ জুন মামলার অন্য পলাতক আসামী টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আসামীদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তৎকালীন র্যাব ১৫-এর সহকারি পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ভয়েস/আআ